আচ্ছা, এই বছর তিরিশের কারও যদি আচমকা বুকে ব্যথা হয়, কি বলবেন গ্যাস্ট্রিকের(gastric) ব্যথা? কিংবা অ্যাসিডিটি(acidity) আর তাও যদি না হয় তাহলে নির্ঘাত ঠান্ডা (common cold)লেগে এই অবস্থা। আর যত কারণই মাথায় আসুক না কেন কারণটা যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও(cardiac arrest) হতে পারে সে কথা সহসা আমাদের মাথায় আসে না। এদিকে সম্প্রতি এই ধরনের সমস্যায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে কতটা গম্ভীর এই সমস্যা। শুরুটা টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় মুখ বছর ৪০-র সিদ্ধার্থ শুক্লাকে(Siddharth Shukla) দিয়ে। এরকর কন্নড়ের সুপারস্টার বছর ৪৬-র পুনিথ রাজকুমার(Puneeth Rajkumar)। তার ওপর ন্যাশনাল টেলিভিশনের আরেক পরিচিত মুখ বছর ৪৭-র অমিত মিস্ত্রি(Amit Mistry)। আর সদ্য ঘটে যাওয়া বছর ৩২-র পংখুরি(Pankhuri)ও গ্র্যাবহাউসের((Grabhouse) সিইও পঙ্খুরি শ্রীবাস্তবের(Pankhuri Shrivastav) অকাল মৃত্যু।
কোভিডকালে এই সব আকস্মিক মৃত্যু নিঃসন্দেহ মনে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মত সমস্যা অল্পবয়েসীদের মধ্যে এভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারন কি?
কোন একটা কারন নয় অবশ্যই, রয়েছে, শারীরিক শ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ধুমপান, মদ্যপান আর স্ট্রেস।
আরও পড়ুন: স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটি দূরে রাখতে রোজ খান এই সব খাবার
স্ট্রেস নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অতিরিক্ত স্ট্রেস ও উদ্বেগের এক কথায় মারণাস্ত্রের কাজ করছে। এই স্ট্রেস ভিতর থেকে শরীরকে খেয়ে ফেলছে। আর বলা বাহুল্য কোভিড মহামারী ও লকডাউনে এই স্ট্রেস এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া, আর্থিক লোকসান, প্রিয়জনের মৃত্যু ও সারাক্ষণ করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক। প্রত্যেকদিন একটু একটু করে বাড়িয়ে তুলছে স্ট্রেস লেভেল। আর এর সঙ্গে লকডাউন ও ওয়ার্ক ফ্রম হোম, কিংবা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ও ওটিটির আসক্তি কমিয়ে এনেছে শারীরিক শ্রম। দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে কাজ করা কিংবা হাঁটাচলা কম করাই হল অল্পবয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের অন্যতম কারন।
আরও পড়ুন: জানেন কি শীতকালে কেন বেড়ে যায় স্ট্রোকের প্রবণতা?
তাই আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তা হলে শরীরচর্চা করতে হবে। জাঙ্ক খাবার খাওয়া হয় ছাড়াতে হবে নয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফলমূল শাক সবজি খেতে হবে। তবে ভাল বলে বেশি খাবেন না। সুষম আহার খান। পাশাপাশী এই কাজগুলো অবশ্যই করুন। যেমন-
মদ্যপান বন্ধ করুন। বর্ষবরনের উত্সবের এই কথা অনেকেরই ভাল লাগবে না ঠিকই তবে প্রাণের মায়া থাকলে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করবেন না। মাঝে মধ্যে করলে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিত্যনৈমিত্তিক একেবারেই করবেন না।
ধুমপান বন্ধ করতে হবে। সিগারেট খাওয়া কমিয়ে খুব একটা লাভ হবে না বরং পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে চলুন।
অতিরিক্ত তেল যুক্ত ও চিনির খাবার এড়িয়ে চলুন
এছাড়া, স্ট্রেসও অ্যাংজাইটি যদি আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী হয় এবং এর ফলে অল্পতেই রেগে যাওয়া, ব্যবহারগত সমস্যা কিংবা উদ্বেগ হলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
নেতিবাচক চিন্তা বা আলোচনা যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন। দেখবেন মন ভাল থাকবে। স্ট্রেস কমবে।