নয়াদিল্লি: জামিন দেওয়া আইন, কারাবাসের নির্দেশ ব্যতিক্রম। দেশব্যাপী জেলা আদালতগুলিতে এর অন্যথা হচ্ছে। কেন এই প্রবণতা বাড়ছে, সব জেলা বিচারককে এর জবাব দিতে হবে। শনিবার জানালেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice D Y Chandrachud)। নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে জেলা আদালতগুলি কেন গুরুত্ব দিচ্ছে না? এই প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি। জেলা পর্যায়ের বিচারকরা জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত থাকছেন। অভিমত শীর্য আদালতের প্রধান বিচারপতির। জেলা আদালতে (District Court) ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই আশঙ্কা সাধারণের মনে দেখা দিয়েছে। ‘বেল ইজ দ্য রুল’- জেলা আদালতে এই নীতি খাটছে না। গুজরাটের কচ্ছতে বিচার বিভাগীয় অফিসারদের এক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
জেলা আদালতগুলিকে সময়ের সাথে বিবর্তিত হতে হবে। আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বজায় রাখার স্বার্থে সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো রাখতে হবে। বহু এজলাসে অত্যধিক ভিড় হয়। মামলার শুনানি হতেও দেরি হয়। এই পরিস্থিতির বদল দরকার। শুনানি মুলতবি হয়ে যাওয়া, মামলা ঝুলে থাকা যেন বিচার ব্যবস্থার অঙ্গ। সাধারণ মানুষ এমনটাই মনে করেন। অভিমত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১৪)
জটিল মামলার সমাধান করে রায়দান অনেক সহজ। কিন্তু কোন আইনজীবীকে শুনানি করতে রাজি করানো কঠিন। আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। শুনানি মুলতবি হয়ে যাওয়াটা জলভাত হয়ে গিয়েছে। মনে করুন অসুস্থ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে গেলেন এবং তিনি জানালেন, আজ রোগী দেখা যাবে না। কেমন লাগবে? সারা জীবনেও বহু মানুষ প্রয়োজনীয় আইনি সিদ্ধান্ত জেনে উঠতে পারছেন না। এভাবে নাগরিককের মামলার ফলাফল জানার জন্য আমৃত্যু ঝুলিয়ে রাখা বরদাস্ত করা যায় না। মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
অন্য খূপ দেখুন