ওমিক্রনের (omicron) প্রভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিভ ১৯-এ(covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি না হলেও করোনাভাইরাসের (coronavirus) আগের ভ্যারিয়েন্টের(variants) তুলনায় দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।কারন করোনাভাইরাসের এই ৫০টি জেনেটিক মিউটেশনের(50 genetic mutations) মধ্যে রয়েছে অন্তত ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক প্রোটিন(36 spike protein) যা ওমিক্রণকে(omicron) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শক্তি জোগায়।
কোভিড ১৯ ও দ্বিতীয়বার সংক্রমনের সম্ভাবনা
এই পরিস্থিতি যে প্রশ্নটা সবথেকে আগে প্রত্যেকের মাথায় আসছে সেটা হল এই ভ্যারিয়েন্টর হাত ধরে কি দ্বিতীয়বার আপনার শরীরে হানা দিতে পারে কোভিড ১৯? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে এর সম্ভাবনাই প্রবল।
ওমিক্রন নিয়ে একটি নোটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এই করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্ট অনায়েসে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিক্রম(evade immunity) করে দ্বিতীয়বারও আপনাকে কোভিড পজিটিভ(covid positive) করতে পারে। এমনকি আপনি এই অতিমারির শুরুর দিকে সংক্রমিত হয়েছেন কিংবা আপনি সদ্য সেরে উঠেছেন।দুই ক্ষেত্রেই সংক্রমণের(reinfection) প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)?
গত মাসেই এই নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তরা সেরে ওঠার পরও ওমিক্রণে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা ডেল্টার তুলনায় প্রায় ৩ থেকে ৫ গুন বেশি।
তবে গত বছর যে ভাবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের(delta variant) হাত ধরে আসা দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড ১৯ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল সেই ভয়াবহতা ওমিক্রনে(omicron) এখনও সেভাবে নজরে আসেনি বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪১ হাজার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) অনুযায়ী ওমিক্রন প্রাথমিক ভাব ২০ থেকে ৩০ বয়সীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।প্রথমে বড় বড় শহরগুলিতে সেখান থেকে পরে বিভিন্ন সামাজিক জমাতেয় এবং কর্মস্থলে(clusters in social and workplace gatherings)।
তবে বেশ কিছু গবেষণায়(research) দেখা গেছে সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বহুবার মিউটেশনের(numerous infections) ফলে করোনাভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট(new variants) দ্রুত গতিতে ছড়ালেও সংক্রমণের ভয়াবহতা আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অনেকটা কম। দক্ষিণ আফ্রিকাতে (South Africa)প্রথম পাওয়া যায় ওমিক্রনের। শুরু হয় করোনাভাইরাসের(coronavirus) এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গবেষণা। সেই সব গবেষণা নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট বার করে ব্লুমবার্গ(Bloomberg report on Omicron)।সেই রিপোর্টেই ওঠে আসে এই সব তথ্য।
ওমিক্রন নিয়ে জাপানি ও অ্যামেরিকান বিজ্ঞানীদের মিলিত(consortium of Japanese and American scientists) একটি গবেষণায় এবং বেলজিয়ামে পৃথক একটি গবেষণায় জানা গেছে আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতন ওমিক্রণ প্রথমেই ফুসফুসে(lungs) আক্রমণ করে না। তাই ওমিক্রন দ্রুত ছড়ালেও সংক্রমণের তীব্রতা(virulent) অনেকটাই কম।