ঠোঁটের স্বাস্থ্য যত তাড়াতাড়ি খারাপ হয় তত দ্রুত সেরে ওঠে না। তাই ঠোঁটের যত্ন নিতে ধৈর্য্যের প্রয়োজন। তবে বাজার চলতি রাসায়নিকের ব্যবহার না করে বরং ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নিলে উপকার পাবেন দ্রুত। পাকাপাকিভাবে ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভাল করতে ও ঠোঁটের নিজস্ব গোলাপি আভা ফুটিয়ে তুলতে ঘরোয়া পরিচর্যা করার আগে নিয়মিত এই কাজগুলো অবশ্যই করুন। যেমন-
নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেটেড রাখুন
ঠোঁট শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় কারণ এর নিজস্ব কোন তেলের গ্রন্থি নেই। তাই ঠোঁট ভাল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমানে জল খান ঘণ ঘণ ঠোঁট চাটা বন্ধ করতে হবে। এতে ঠোঁট তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে না। শরীরে সঠিক পরিমানে আর্দ্রতা বজায় থাকলে ঠোঁট নরম ও পেলব থাকবে। পাশাপাশি ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যাবে না।
ঠোঁট নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন
সকালে ঘুম থেকে উঠে নরম ও ভেজা টুথব্রাশ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিন। ব্রাশ ব্যবহার না করে মুখ মোছার তোয়ালেও ব্যবহার করতে পারেন। এই ভাবে ঠোঁট ঘষার ফলে জমে থাকা মৃত কোষ ঠোঁট থেকে সরে যাবে। ঠোঁটে যাতে কোনও রকমের সংক্রমণ বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য এই মৃত কোষ ঘষে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আরও ভাল হয় যদি নিয়মিত কোনও নারিশিং অয়েল দিয়ে দিনে পাঁচ মিনিট ঠোঁট মালিশ করে নেন।
ঠোঁট সুরক্ষিত রাখুন ও নিয়মিত ময়শ্চারাইজ করুন
অধিকাংশ সময় ঠোঁটের নীচের অংশ বেশি রোদে পোড়ে। এর ফলে ঠোঁট শুকিয়া যাওয়া কিংবা জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে বেশি। তাই চেষ্টা করুন এসপিএফ ১৫ কিংবা বেশি মাত্রার সানস্ক্রিনযুক্ত লিপ বাম ব্যবহারের। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, দূষণ, ধুলো ময়লার থেকে ঠোঁট বাঁচাতে ব্যবহার করতে লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটে সরাসরি লিপস্টিক না লাগানোই ভাল
লিপস্টিক লাগানোর আগে আমন্ড কিংবা নারকেল তেল ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লিপ্সস্টিক লাগিয়ে নিন। লিপ বামও লাগিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে ঠোঁটের নিজস্ব আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ঠোঁট ও লিপস্টিকের কড়া রাসায়নিকের মধ্যে একটি অন্তরায় তৈরি হবে।