নতুন বছর নিয়ে আশায় বুক বেঁধে ছিলেন অনেকেই। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সেই আশাকে আশঙ্কায় বদলেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আতঙ্কিত না হয়ে বরং কোভিড বিধি মেনে চলার পাশাপাশি নিত্য দিনের জীবনযাপনে কিছু স্বাস্থ্যকর বদল ঘটালে অতিমারির আবহাওয়ায় নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখা সম্ভব। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকলে যে কোনও সংক্রমণের মোকাবিলা করা সহজ। তাই ২২-র শুরুটা অতিমারির তীব্রতা দিয়ে হলেও বছরের শেষটা যেন ভাল হয় তাই গোটা বছর এই বিষয়গুলো মেনে চলুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
শারীরিক কার্যকলাপের কারনে আমাদের শরীরের নমনীয়তা বজায় থাকে। এতে যে কোনও কাজ সহজেই করতে পারে শরীর। তাই দীর্ঘক্ষণ ফোন, ল্যাপটপ বা টিভির সামনে বসে সময় না কাটিয়ে বরং সকালে হাঁটতে বা জগিংয়ে বেরোতে পারেন। কিংবা ইনটেসিভ ওয়ার্কআউট করতে পারেন। আপনার সুবিধে এবং পছন্দমতো যে কোনও একটা করলেই হল। ড্যান্স এক্সসারসাইজ বা সাইক্লিং করতে পারেন। পাশাপাশি যোগাসন বা মেডিটেশনে শারীরিক ও মানসিক দুক্ষেত্রেই উপকার পাবেন।
সুষম আহার
শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিনের প্রয়োজন। তাই আপনার পছন্দের একইরকম খাবার না খেয়ে বরং সব ধরনের খাবার খান। যেমন শুধু হাই প্রোটিন যেমন ডিম, মাছ, মাংস খেলেই হবে না অন্যান্য পুষ্টির জন্য নানা রকমের শাক সবজি ও ফলমূল খাওয়া দরকার। আবার চাইলে মাঝে মধ্যে স্বাদ বদল করতে পারেন এতে খাবারে রুচি থাকবে যেমন ভাতের বদলে কিনোওয়া বা মিলেট খেতে পারেন। আবার সর্ষের তেলের বদলে সূর্যমূখির তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। বাইরের খাবারের বদলে বাড়ির খাবার বেশি খান।
ঘুমের সময়সূচি নিয়ে সচেতন হোন
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে শরীরের কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। বিশেষ করে রাতের ঘুম শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক। তবে এক্ষেত্রে শুধু ঘুমের সময় বাড়ালেই চলবে না মেনে চলতে হবে ঘুমোনোর নির্দিষ্ট সময়। একদিন রাত ১০টায় অন্যদিন রাত ১২টায় ঘুমোতে গেলে চলবে না। আমাদের শরীর একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলে তাই যে কোনও কাজে সময়ে মেনে করলে শরীর সেই সময়সূচিতে অভ্যস্ত হয়ে যায় এর ফলে শরীর যেমন সঠিক বিশ্রাম পায় তেমন আবার শরীরের কার্যক্ষমতাও বেড়ে যায়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কের সাধারণত দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন, এর কম যেমন ভাল না তেমনই এর বেশিও ঠিক না। অনেক সময় প্রয়োজনে এবং সুযোগ থাকলে পাওয়ার ন্যাপ মানে দিনের বেলায় কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিতে নিতে পারেন। এতে শরীরের ক্লান্তি থাকলে তা কেটে যায়।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট শিখুন
বর্তমান যুগের ইদুর দৌড়ে নিজেকে চাপ মুক্ত রাখা কঠিন। বিশেষ করে এই অতিমারির আবহাওয়ায় আরও কয়েক গুন বেড়ে গেছে স্ট্রেস ও টেনশন। কিন্তু বাড়তে দেওয়া যাবে কোনওমতেই। অতিরিক্ত স্ট্রেসে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হার্ট ।
বাজে অভ্যেসগুলো ছাড়তে চেষ্টা করুন
ঘুমপান আর মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান থেকে ফুসফুসের, হার্টের ও লিভারের একাধিক জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়। জাঙ্ক ফুড খাওয়া কম করুন।