শরীর সুস্থ রাখতে ওটসের উপকারিতা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ত্বকের জন্যেও এই ওটস যে বেশ কার্যকরী তা হয়ত অনেকেই জানেন না। ভিটামিন, মিনারেল, লিপিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো নানা রকম পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ এই ওটস রূপচর্চার ক্ষেত্রেও দারুন কাজের। যারা ঘরোয়া উপায়ে ত্বক পরিচর্যা করতে পছন্দ করেন তারা ত্বকের হারানো জেল্লা ফেরাতে ব্যবহার করতে পারেন ওটস ও ওটসের তৈরি নানা রকমের ফেসপ্যাক। কীভাবে ব্যবহার করবেন দেখে নিন-
স্ক্রাবার হিসেবে ওটস
ওটস প্রথমে গরম জলে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে এবার এই ওটস চটকে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। অন্তত ১৫ মিনিট এই ওটস মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর আলতো হাতে মুখ ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকের ওপর ও ভিতরের স্তরে জমে থাকা ধুলো ময়লা ভালভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শুষ্ক ত্বকে লাগান ওটস ও মধু
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যাদের তারা ওটসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর্যন্ত এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন। এবার ইষদুষ্ণ জল দিয়ে এই মিশ্রণ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ আঠালো হওয়ায় ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করলে প্যাক তুলতে সমস্যা হতে পারে।
টক দই ও ওটস
ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে কিংবা সান ট্যান তুলতে ত্বকের জন্য টক দই ভীষণ কার্যকরী। একইসঙ্গে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতেও দারুণ কার্যকরী ওটস ও টক দই। তাই এই গরমে ত্বকের শুশ্রুষা করতে ব্যবহার করতে পারেন এই ফেস প্যাক। এই মিশ্রণ মুখে অন্তত ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এই প্যাক লাগানোর মুখ যেমন পরিষ্কার হবে তেমন সুন্দর হবে ত্বকও।
চালের গুঁড়ো ও ওটসের তৈরি প্যাক
ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে চালের গুঁড়ো ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর এই প্যাক মুখে অনন্ত ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ত্বক উজ্জ্বল করতে এই প্যাক দারুণ কার্যকরী। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই প্যাক লাগান।
ডিম ও ওটস
একেই ব্রণ প্রবণ ত্বক তার ওপর আবার এই প্যাচ প্যাচে গরম। ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ ও সামান্য পাতিলেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ব্রণর সমস্যা থেকে যেমন রেহাই পাবেন তেমন ওজ্জ্বল হয়ে উঠবে ত্বক।