ত্বকের বয়স বাড়ছে ভেবে মন খারাপ না করে জেনে নিন কোন পদ্ধতিতে কোন কোন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহারে করে এক ধাক্কায় কমিয়ে আনবেন ত্বকের বয়স। ম্যাচিউর স্কিনকে অল্প বয়সের দেখাতে মেকাপের জারিজুরির অভাব নেই। তবে সব থেকে বেশি কার্যকরী হল কনটোরিং টেকনিক। আর এই কাজ একাধিক মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করেই শুধুমাত্র কনসিলার দিয়েই বাজিমাত করবেন শিখে নিন-
এই ভাবে ধাপে ধাপে কনসিলার দিয়ে ফেসলিফ্ট করুন
প্রথম ধাপ
প্রথমেই আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী সঠিক কনসিলার বাছতে হবে। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তা হলে আপনাকে থিক বেস বানানতে হবে। আর ত্বক যদি শুষ্ক হয় তা হলে লাইট বেস বানাতে হবে। শুষ্ক ত্বকের ওপর ক্রিমি কিংবা লিকুইড বেস্ড কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। আর তৈলাক্ত ত্বক হলে ক্রিম বেস্ড কনসিলার ব্যবহার করুন।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর আপনার মুখের কোনও জায়গায় বয়সের ছাপ পড়েছে সেই জায়গা চিহ্নিত করুন। সাধারণত চোখের কোলে যাকে বলে ক্রো লাইন কিংবা চোখের নীচের চামড়া কুঁচকে গিয়ে বয়সের ছাপ ফুটিয়ে তোলে। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এই একই অবস্থা হয় তা হলে কনসিলারের সাহায্যে আইলিফ্ট করা যেতে পারে।
তৃতীয় ধাপ
কনসিলারের টাইপের পাশপাশি কনসিলারের সঠিক শেড বেছে নেওয়াও একান্ত জরুরী। ফেসলিফ্ট করার জন্য তিন রকমের শেডের প্রয়োজন। প্রথমে আপনার স্কিন টোনের থেকে ২ কালার ডার্ক শেডের কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার স্কিন টোনের রঙ অনুযায়ী কনসিলার লাগাতে হবে। সব শেষে আপনার ত্বকের রঙ থেকে দুই শেড হালকা রঙয়ের শেড ব্যবহার করতে পারেন। এই ভাবে কনসিলার ব্যবহার করলে পার্ফেক্ট ফেস লিফ্ট করা সম্ভব।
চতুর্থ ধাপ
এবার সব থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কনসিলার এমন ভাবে মুখে লাগাতে হবে যেন কনসিলার ত্বকের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। এর জন্য আপনার চোখের আউটার কর্নার থেকে ইনর কর্নারের দিকে ব্লেন্ডার নিয়ে যান। এর সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ব্লেন্ডার আপওয়ার্ড ডাইরেকশনের দিকে ঘুড়িয়ে ব্যবহার করুন। এই ভাবে কনসিলার ব্যবহার করলেই সহজেই নিখুত ফেসলিফ্ট হয়ে যাবে।