কলকাতা: বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস (Dry Fruits) এবং বাদামজাতীয় (Nuts) খাবার যে আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, তা প্রায় সকলেরই জানা। তাই এইসব ড্রাই ফ্রুটসকে সন্তানের পাতে যত দ্রুত সম্ভব জায়গা করে দিতে হবে। আর এতেই ছোটদের শরীরে যাবতীয় পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। কারণ, এইসব ড্রাই ফ্রুটসে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। সেই সঙ্গে এইসব প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে যা, শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য একাই একশো। জেনে নিন কোন কোন খাবার গুলি আপনার শিশুর ডায়েটে রাখবেন।
আমন্ড- আমন্ডে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসফরাস। আর এই উপাদান সন্তানের হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে রাইবোফ্ল্যাভিন এবং এল-কারনিটিন যা কিনা বাচ্চাদের ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকী নিয়মিত শিশুকে এই বাদাম খাওয়ালে তার আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁকও কমবে।
ওয়ালনাট- ওয়ালনাট হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু ব্রেন ও হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, এই বাদামে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্কের মতো একাধিক উপকারী উপাদান যা কিনা স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে একাই একশো। তাই সন্তানকে রোজ অন্তত ২ থেকে ৩টি ওয়ালনাট খাওয়ান।
আরও পড়ুন: শীতকালে খুশখুশে কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন
পিস্তা বাদাম- সন্তানকে মাঝেমাঝে পিস্তা বাদাম খাওয়াতেই পারেন। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, পাইরিডক্সিন, ফোলেট থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি উপাদান। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু সন্তানের স্বাস্থ্যের হাল শুধরে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই আপনার সন্তানের ডায়েটে এই বাদাম রাখতেই পারেন।
খেজুর- খেজুরে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক এবং পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে যে ছোট্ট সোনার শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার যা কিনা বাচ্চাদের কোষ্ঠ পরিষ্কার করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সন্তানকে নিয়মিত খেজুর খাওয়াতেই হবে।
কিশমিশ- আপনার সন্তানকে নিয়মি কিশমিশ খাওয়াতে পারেন। এতেই তার দেহে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে। এমনকী তার রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ারও সুযোগ পাবে না। তাই তার শরীর বাবাজির হাল ফেরাতে নিয়মিত কিশমিশ খাওয়াতই হবে।
দেখুন আরও অন্য খবর