বহরমপুর: পঞ্চায়েত ভোটে বেসুরো তৃণমূল কর্মীদের (TMC) নিয়ে সভা করার অনুমতি পেলেন না ভরতপুরের (Bharatpur) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নিয়ে হুমায়ুনকে সভা করার অনুমতি দিল না বহরমপুর থানার (Berhampore PS) পুলিশ। যদিও হুমায়ুন পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সভা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদে থাকা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অনুরোধও রাখছেন না হুমায়ুন কবীর। সোমবার বহরমপুরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, তিনি হুমায়ুনের সভা কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। আগে দল, তারপরে মান অভিমান। হুমায়ুনকে দল বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, হুমায়ুন তাঁর লক্ষ্যে অবিচল। চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থী না পেয়ে হুমায়ুন এর আগেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আগামীকাল বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সভার ডাক দিয়েছেন হুমায়ুন। পুলিশ অনুমতি না দিলেও ওই সভা হবে বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে ওই সভা অনুষ্ঠিত হলে দল হুমায়ুনের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে সেটা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে এদিন বহরমপুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, সমর্থন করি না। বলেছি দলের বাইরে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। সভা করা থেকে বিরত থাকুন। জনসমক্ষে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলবেন না। দলের প্রার্থী পছন্দ না হলে দলের ফোরামে কথা বলুন। এটা নিয়ামত সেখ এবং হুমায়ুন কবীর দুজনকেই বলা হয়েছে। এরকম করলে আপনাদেরও ক্ষতি হবে। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে বৈঠক ডাকেন তখন কথা বলবেন। এগুলো করলে সংবাদমাধ্যমের মনোযোগ পাওয়া যায়। বিরোধীদের বাহবা পাওয়া যায় মাত্র।
আরও পড়ুন: Bihar | Teacher | Student | স্কুলে ধূমপান, বেধড়ক মারে মৃত ছাত্র
হুমায়ুন কবীর বলেন, ফিরহাদ হাকিম সত্যি যদি মনে প্রাণে এমনটা চান, তিনি সার্কিট হাউসে ডেকে পাঠিয়ে বলতে পারতেন মিটিং থেকে বিরত থাকুন। তিনি এই জেলায় আসছেন দলের নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তিনি রেজিনগর যাবেন সেখানকার বিধায়ককে ডাকেননি। তিনি বাইরে থেকে অপূর্ব সরকার, শাওনি সিংহরায়কে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন। ৩০ বছর সিপিএমের আমলে অনেক আন্দোলন করেছি। অনুমতি না দিলেও করব।