বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Polls) আগে বোমা-বারুদের স্তূপ বীরভূমে (Birbhum )। ফের উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র (Firearms ), কার্তুজ ও প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির বারুদ( bomb-making ammo)। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির বারুদ। ঘটনাটি বীরভূমের মল্লারপুর থানার জবুনি গ্রামের। ধৃত রমজান শেখের ( Ramzan Sheikh) বাড়ি থেকেই পুলিশ ওই অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা বারুদ উদ্ধার করে।রমজানের বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র মজুত আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। তারপর শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালায় রমজানের বাড়িতে। জবুনি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে বীরভূমের মল্লারপুর (Mallarpur in Birbhum) থানার জবুনি গ্রামে অভিযান চালান আচমকা এই পুলিশি অভিযানে হকচকিয়ে যায় রমজানের বাড়ির লোকজন। বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ওই সব অস্ত্র বোমা বারুদ ইত্যাদির সন্ধান পায় পুলিশ। রমজান পালিয়ে চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের চক্রের সঙ্গে জড়িত সে।ধৃতকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে নলহাটি থানার বারমারোই গ্রামের বাঁশের ঝোপ থেকে বোমা গুলি উদ্ধার হয়। একটি মাটির হাঁড়িতে বোমা গুলি রাখা ছিল সূত্রের খবর। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেন। নলহাটি থানার পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থলে বোম্ব স্কোয়ার্ড এসে বোমা গুলিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:Rahul Gandhi | রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তপ্ত হচ্ছে বীরভূমের মাটি। গত কয়েক মাসে বীরভূমের বহু জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ মাসের গোড়াতেই মুরারই ১ নম্বর ব্লকের গোয়ালমালে খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার আত্মীয়ার বাড়িতেই বোমার হদিশ মিলেছিল। সাঁইথিয়ায় পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে মিলেছিল আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা।গত ফেব্রুয়ারিতে মাড়গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্য সুজাউদ্দিন শেখের খামার বাড়িতে মেলে তিন ব্যাগ বোমা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামের তপন গ্রামে সিপিএম নেতা ইয়াকুব শেখের বাড়ির পাশে দুটি প্লাস্টিকের জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। সিপিএমের অবশ্য দাবি, ইয়াকুবকে ফাঁসানোর জন্য তার বাড়ির পাশে বোমা রেখে নাটক করেছিল পুলিশ।
বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূম জেলাবোমা বারুদে স্তূপে পরিণতচ হয়েছে। শাসকদলের দলদাস পুলিশ সব জেনে শুনেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ।তারা কেবল খবর পেয়ে বোমা বারুদ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু ঘরে ঘরে যে বোমা তৈরি হচ্ছে, ভিন রাজ্য থেকে যে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, পুলিশ সে সবের কোনও খোঁজ খবর রাখে না।
শুক্রবারই কালীঘাটে বীরভূম জেলা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর ওই বৈঠকে দলীয় সংগঠন নিয়ে নানা আলোচনা হলেও জেলায় বোমা বারুদ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার নিয়ে কোনও কথা হয়নি।