কলকাতা: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) আগাম জামিনের মামলায় ইডিকে (ED) ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট তথা আদালতে অভিযুক্তকে পেশ করার নির্দেশ জারি থাকা অবস্থায় কীভাবে সেই ব্যক্তিকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে। ইডি-র এমন পদক্ষেপ ব্যাখ্যাতীত জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর (Justice Jaymalya Bagchi) নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
২৫ নভেম্বর সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়। সেই ওয়ারেন্ট জারি থাকা অবস্থায় ২৬ নভেম্বর সিবিআই ‘শোন অ্যারেস্ট’ নথি নিম্ন আদালতে জমা দেয়। অথচ অভিযুক্তকে এখনও প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট অনুযায়ী নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়নি। এই অবস্থায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী অভিযুক্তের আগাম জামিন প্রাপ্য বলে দাবি করেন অভিযুক্তের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ধান কেনায় দালাল চক্রের যোগ! জরুরি বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে থাকা কাকুকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। সেই সূত্রে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় আইন অনুযায়ী কীভাবে শোন অ্যারেস্ট আবেদন পেশ করা হল, এই প্রশ্ন তুলে বেঞ্চের জিজ্ঞাসা, বহু কোটি টাকার তদন্ত যেখানে চলছে, সেখানে তদন্তকারী অফিসার আইনের এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলি জানেন না? নাকি অভিযুক্তকে ঘুরিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে? বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, যদি ওই তদন্তকারী অফিসার সত্যিই যোগ্য হন, তার প্রতিফলন কেন তাঁর কাজে দেখা যাচ্ছে না? কেন এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার প্রতিটি ক্ষেত্রে তদন্তে দেরি হয়েই চলেছে?
দুই সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা সহ হলফনামা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলফনামা পেশ হলে আবেদনকারী পাল্টা হলফনামা দিলে পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: