তাইপে: তাইওয়ানকে (Taiwan) ভয় দেখাতে রবিবার, দ্বিতীয় দিনেও চীনের (China) যুদ্ধবিমান (Fighter Jets) ও যুদ্ধ জাহাজ (War Ships) বোমা বর্ষণ চালাল। তাইওয়ানকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে মহড়ার (War Drill) নামে এই কীর্তিকলাপ চালাচ্ছে চীনা বাহিনী। এই ঘটনায় বিশ্বের ‘মাতব্বর’ দেশ আমেরিকাও (US) যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। যদিও এখনই কোনও পদক্ষেপ না করে তারা বলেছে, বেজিংয়ের কার্যকলাপের উপর তারা নজর রাখছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য আমরা লড়াইয়ে প্রস্তুত। গোটা দেশ নিজেদের রক্ষা করতে একজোট।
দুদিন ধরে ক্ষুদ্র দ্বীপ তাইওয়ানের আকাশে চড়ে বেড়াচ্ছে চীনা জেট বিমান। সমুদ্রেও ঘোরাফেরা করছে চীনা বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। আশপাশে বোমা বর্ষণও করছে। এই ঘটনায় আঞ্চলিক শান্তি ও সুস্থিতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু, তাইওয়ান চীনা হামলার আশঙ্কায় ভীত নয়, তা বোঝাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করতে তৈরি। এর জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব, যা করতে হয় তা করব। এদেশের প্রতিটি স্মৃতি আমাদের মনে গেঁথে আছে। তাই গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে শামিল হতে প্রস্তুত। মাতৃভূমি রক্ষা করব যে কোনও মূল্যে।
আরও পড়ুন: Avoid Skin Cancer | বাড়ছে স্কিন ক্যানসার, প্রখর রোদে বেরনোর আগে সাবধান হন, এইভাবে ত্বকের যত্ন নিন
রবিবার ভোরের দিকে তাইওয়ান ৭১টি চীনা যুদ্ধবিমান ও ৯টি যুদ্ধজাহাজকে দেখতে পায়। তাইওয়ান খাঁড়ি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে জলসীমা অতিক্রম করে এগুলি। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করা চীন গত শনিবার থেকে এই অঞ্চলে যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে। আজ ছিল তার দ্বিতীয় দিন। উল্লেখ্য, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েন আমেরিকা সফর সেরে ফেরার পরদিন থেকেই চীন তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। উল্লেখ্য ইনওয়েং মার্কিন জনপ্রতিনিধিসভার স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, চীনের পদক্ষেপের দরুন তারাও তাদের যুদ্ধাস্ত্র এবং বিমান ও নৌবাহিনী প্রস্তুত করে রেখেছে। এবং খুব কাছ থেকে নজর রাখা হচ্ছে চীনের কার্যকলাপের উপর। দেশের নাগরিকদের কাছেও কর্তৃপক্ষ এই বার্তা দিয়েছে, কোনওভাবেই চীনের চোখরাঙানির কাছে নতিস্বীকার করা হবে না।
এদিকে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘জোড়া তরোয়াল’ নামে এই মহড়া সোমবার পর্যন্ত চলবে। ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, উভয়পক্ষকে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এই অঞ্চলের স্থিতাবস্থা বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করে তারা।