কলকাতা: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের চিঠির সূত্রেই বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adya) ইডি (ED) গ্রেফতার (Arrest) করেছে। শনিবার আদালতে এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার গভীর রাতে ইডি যখন বনগাঁর বাড়ি থেকে শঙ্করকে গ্রেফতার করে, তখন তাঁর স্ত্রী জ্যোতস্না আঢ্যও একই কথা জানিয়েছিলেন। ওইদিন সকাল থেকে ১৭ ঘণ্টা শঙ্করের এবং তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর মাঝরাতে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করে। সকালে সন্দেশখালির মতো রাতে বনগাঁতেও তাঁকে গ্রেফতার করার সময় ইডি অফিসারদের উপর তৃণমূলের হামলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী তখন লাঠি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।
এদিন সকালে শঙ্করকে মেডিক্যাল চেকআপ করার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আনা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। সন্ধ্যায় শঙ্করকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। আদালতে হাজির করানোর সময় শঙ্কর বলেন, আমি চক্রান্তের শিকার। আইনের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ইডি, অডিও বার্তায় শেখ শাহজাহান
আদালতে ইডি দাবি করে, শঙ্করের অন্তত ৯০টি বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা আছে। তার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তার মধ্যে বালুর ১০ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। এই টাকা রেশন দুর্নীতির থেকে পাওয়া গিয়েছে। ইডি আরও জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে বালু তাঁর মেয়েকে একটি চিঠি দেন। সেই চিঠি প্রহরারত সিআইএসএফ জওয়ানরা ধরে ফেলেন। তাতেই অনেক নাম ছিল। সেই সূত্রেই শঙ্করের নাম উঠে আসে। যদিও শঙ্করের আইনজীবী জাকির হোসেন ইডির সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন. শঙ্করের বাড়ি থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ইডি নানা গল্প ছড়াচ্ছে।তাঁর আরও দাবি, বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ব্যবসা বৈধ পথেই করেন শঙ্কর।
আরও খবর দেখুন