কলকাতা: বিরোধী দলনেতার হুমকির পরেই নড়েচড়ে বসলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। কেরল থেকেই শনিবার রাজ্যপাল রাজ্যের শীর্য কর্তাদের কাছে জানতে চাইলেন, সন্দেশখালি নিয়ে এখন পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁর নির্দেশ, অবিলম্বে সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে রিপোর্টও তলব করেন।
এদিন বিধানসভা থেকে মিছিল করেন বিজেপি সদস্যরা রাজভবনে যান। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদেই তাঁদের এই মিছিল। তার নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী বিধায়করা রাজভবনের সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যান। তাঁদের হাতে ছিল সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। মুখে স্লোগান ছিল, রাজ্যপাল নীরব কেন, জবাব চাই, জবাব দাও। পরে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যপালকে সক্রিয় হতে হবে। সন্দেশখালির তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে রাজ্যপালকে। তাঁকে অবিলম্বে সন্দেশখালিতে যেতে হবে। আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ বা পদক্ষেপ না করলে আমরা রাজভবন ঘেরাও করব। রাজ্যপাল এদিন রাজ্যের বাইরে ছিলেন। তা জেনেশুনেই শুভেন্দুরা রাজভবনে যান। তাঁরা রাজ্যপালের সচিবকে স্মারকলিপিও দেন।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড
এদিকে কামদুনির প্রতিবাদী মহিলারাও এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন। টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি কয়াল সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয় আইন-শৃঙ্খলা এবং ১৪৪ ধারার অজুহাত দেখিয়ে।
অন্য খবর দেখুন