কলকাতা: কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইডি দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বেরনোর সময় গাড়ির কাচ খুলে হাসি মুখেই হাত দেখান এবং নমস্কার করেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। সেইমতো এদিন সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এই নিয়ে গত ৬ মাসে ৬ বার অভিষেককে তলব করেছে ইডি।
এর আগে কয়লাকাণ্ড ও পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের বক্তব্য, ইচ্ছা করেই বারবার অভিষেককে হেনস্তা করা হচ্ছে। এই বছরে ২০ মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৬ বার ইডি ও সিবিাই তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৯ অক্টোবর ইডির তলবে হাজিরা দেননি তিনি। ইডির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
২০ মে নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে ডেকে পাঠায় সিবিআই। ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে তলব করে ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। ৩ অক্টোবর দিল্লিতে তৃণমূলের ধরনার দিন ফের তলব করা হয় তাঁকে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে গত ১০ অক্টোবর ইডি অফিসে নথি জমা দেন অভিষেক।
কয়লা কেলেঙ্কারিতে দিল্লিতেও তলব করা হয়েছিল অভিষেককে। কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে তিনি হাজিরা দেন। তাঁর স্ত্রীকেও তলব করা হয়। তিনিও হাজিরা দেন। সম্প্রতি অভিষেকের পুরো পরিবারকে তলব করা হয়েছিল। মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়। তাঁর বাবা-মা হাজিরা না দিলেও হাজিরা দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।