এবার টেবিল টেনিস দুনিয়ায় মনিকা বাত্রা – সৌমদীপ রায় ইস্যুতে মহামান্য দিল্লি হাই কোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিল, সত্যতা খুঁজতে।
কমিটির চেযারম্যান করা হয়েছে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিক্রমজিৎ সেনকে। সঙ্গে আছেন, আরেক প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি। আর আছেন, প্রাক্তন জাতীয় অ্যাথলিট অর্জুন এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়া গুরবচন সিং রান্ধওয়া। এটি করলেন বিচারপতি রেখা পল্লি। জাতীয় খেলোয়ার মনিকা বাত্রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টেবল টেনিস ফে
আরও পড়ুন: TableTennis: বিশ্ব সংস্থার তদন্তে কড়া শাস্তি বাত্রা-সৌম্যদীপদের!
এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য জাতীয় দলে রাখা হয়নি মনিকাকে। সেই
আবেদনে মনিকা অভিযোগ জানান, জাতীয় কোচ সৌম্যদীপ নাকি তাঁকে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছিল। যাতে সৌম্যর এক ছাত্রী বড় মঞ্চে সুযোগ পায়। আরও একটি ইস্যু ছিল, জাতীয় দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছতায় ভরা , এটাও দাবি করেন।
বিচারপতি অভিযোগ গুরুত্ব বুঝে এই গড়ে দেওয়া তিন সদস্যের কমিটিকে বলেছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে। মাননীয় বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছেন। তিন সদস্যের কমিটির প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন, যা দিতে হবে জাতীয় ফেডারেশনকে। এই কমিটি কোথায় বসে তদন্তের কাজ সারবেন, তাও ফেডারেশনকে ব্যবস্থা করতে হবে কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে।
The #DelhiHighCourt on Wednesday decided to constitute a three-member committee to look into Table Tennis player #ManikaBatra's allegation of a match-fixing attempt by national coach Soumyadeep Roy. pic.twitter.com/NTgk6dEVHu
— IANS (@ians_india) November 17, 2021
আবেদনকারী মনিকা জানিয়েছেন, ফেডারেশনের যে নিয়ম আছে ( জাতীয় দল গঠনের আগে প্রস্তুতি শিবিরে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক) তা বাতিল করতে হবে।
মনিকা বাত্রা আরও দাবি করেছেন, জাতীয় দলের কোচ নিজের একটি কোচিং ক্যাম্প চালান। সেই কোচিং সেন্টারের এক খেলোয়াড়ের জন্য তাঁকে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। যাতে তাঁর সেন্টারের খেলোয়াড়টি যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ পায়। সৌম্য নাকি এটা করেছিলেন সুতীর্থার জন্য।
জাতীয় এই খেলোয়াড় আদালতের কাছে আরও একটি বিষয়ে সুবিচার চেয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ায়, ফেডারেশন নাকি বিশ্ব টিটি সংস্থার কাছে তাঁকে দোষী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
এদিন আদালতে জাতীয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্থার নিজস্ব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মনিকাকে শো কজ করতে চায়। এবং এই শোকজের উত্তর দিক খেলোয়াড়টি।
এর আগে, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক জানায় – জাতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য জাতীয় শিবিরে যোগদান স্পোর্টস কোড অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।
এই নিয়ম অন্য খেলার ক্ষেত্রেও চালু আছে। ওয়েট লিফটিং বা জুডোতে এই নিয়ম মানা হয়। এটা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া নীতি।
While hearing a petition filed by #TableTennis player #ManikaBatra, #Delhi #HighCourt said, "A player should not suffer in #courts ahead of #international events." She had alleged that she has been a target of #TTFI as she called out the apex #TableTennis body, pic.twitter.com/uNG4cRMX4p
— Mojo Story (@themojostory) November 16, 2021
আদালত বলে, যে জাতীয় কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ , তাঁর উপস্থিতিতে জাতীয় শিবিরে যোগদানে খেলোয়াড়ের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে বাধ্য। এটা কাম্য নয়। ফেডারেশনকে বলে হয়েছে, আবেদনকারীকে এই কারণে ক্লিন চিট দিতে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের তদন্ত রিপোর্ট দেখে আদালত মনে করছে, আবেদনকারীর কোনো দোষ নেই।
ছবি: সৌ টুইটার