বর্ষাকাল এলেই সঙ্গে আসে সর্দি কাশির মতো অসুখ। যেন একে অপরের দোসর। প্রতি বছর বহু মানুষ ভোগেন এই সমস্যায়। আবহাওয়া থাকে কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টি। এই মৌসুমে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে ভাবের কারণে অ্যালার্জিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে বাড়তেই থাকে জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে পেঁয়াজ ব্যবহার করলে।
শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, সুস্বাস্থ্যের পক্ষেও উপযোগী পেঁয়াজ। সর্দি কাশির হাত থেকে রেহাই পেতে পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার। এর জন্য বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু ঘুমানোর সময় বা বসে থাকলে মোজার মধ্যে পেঁয়াজের স্লাইস রেখে দিন। এর মাধ্যমেই মিলবে উপকার।চিকিৎসকদের মতে, চিনে পেঁয়াজকে দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোজার মধ্যে আধা টুকরো পেঁয়াজ রেখে ঘুমালে শুধু সর্দি কাশি থেকে রেহাই-ই নয় পা-ও স্ক্রাব হবে।
মোজার মধ্যে পেঁয়াজ রাখার বিষয়টি চীনে প্রথম প্রচলন শুরু হয়। চীনা রিফ্লেক্সোলজির প্রাচীন ওষুধি অনুশীলনে এমনটিই করা হয়। পায়ের স্নায়ুগুলো সচল রাখার মাধ্যমে শারীরিক আরোগ্য লাভ করার চর্চা হাজার হাজার বছর পুরোনো। মোজা পরে তাতে পেঁয়াজ রেখে দিলে, এটি পুরো শরীরকে পরিষ্কার করবে। শরীরের নানান ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু শোষণ করবে এই পেঁয়াজ। এ প্রক্রিয়ায় পেঁয়াজের সাহায্যে রক্তও পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।
পেঁয়াজ গন্ধ শুষে নিতে এবং বায়ুর গুণমান বৃদ্ধিতে সহায়ক। এই জন্য বায়োলজিক্যাল ও আনস্প্রেইড পেঁয়াজ ব্যবহার করা উচিত। তা না-করলে পেঁয়াজে থাকা রাসায়নিক উপাদানসমূহ পায়ের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে যাবে। ফলে হীতে বিপরীত হতে পারে।গবেষকদের মতে, শরীরের ইমিউন সিস্টেমটি উন্নত করতে পেঁয়াজ অনেক কার্যকরী। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁয়াজ রাখা জরুরি। পেঁয়াজের ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যান্সার এবং প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এছাড়াও পেঁয়াজে থাকে ভিটামিন সি। যা ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই সর্দি কাশি থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করুন পেঁয়াজ।