চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল যেন মুখের সৌন্দর্যে একেবারে গ্রহণ লেগে যাওয়ার মতো। তবে এই ডার্ক সার্কেলের পিছনে আসল কারণ না বুঝে এর পরিচর্যা করলে মনের মতো ফল পাবেন না। তাই ডার্ক সার্কেলর পরিচর্যার পাশাপাশি চিকিৎসকের মতামত অবশ্যই নিন। সাধারণত ডার্ক সার্কেল তিন ধরণের হয়-
ব্রাউন ডার্ক সার্কেল
কোনও রকমের অ্যালার্জি, হাইপার পিগমেন্টেশন, অতিরিক্ত সান এক্সপোজার, ডার্মেটাইটিস, জেনেটিক কিংবা হর্মোনাল সমস্যায় এই ধরণের ডার্ক সার্কেল চোখের চারপাশে দেখা যায়।
কীভাবে কম করবেন এই ধরণের ডার্ক সার্কেল
ডার্ক সার্কেলের পাশাপাশি চোখ জ্বালা করলে চোখ ডলবেন না। বরং ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিতে পারেন। তবে খুব জোরে ঝাপটা দেবেন না। বরং চোখের জ্বালা কমাতে ও চোখের পরিচর্যায় শশা কিংবা আলুর রস লাগান। এর পাশাপাশি রোদ্দুর থেকে চোখ বাঁচাতে সব সময় সঙ্গে সানগ্লাস রাখুন।
ব্ল্যাক ডার্ক সার্কেল
কোলাজেনের অভাব, চোখের নীচে ফ্যাট কম হওয়া কিংবা ফ্যাটি টিসু ও ত্বক নমনীয়তা হারালে এই ধরণের সমস্যা তৈরি হয়।
এই ধরণের ডার্ক সার্কেল কম করতে অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করুন-
প্রত্যেকদিন বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সঠিক অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্টের ব্যবহার করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান ও নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
ব্লু ডার্ক সার্কেল
অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য এই ধরণের ডার্ক সার্কলে হয়।
এই ধরণের ডার্ক সার্কেল কম করতে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলুন-
কোনও বিষয়ে অতিরিক্ত চাপ নেবেন না। ঘুমের ঘাটতি যেন না হয় সেদিকে নজর রাখুন। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখের ওপর প্রভাব পড়বে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান ও পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
চোখে র আসেপাসের অংশে আলতো হাতে মালিশ করুন এবং প্রয়োজনে হিট প্যাক ব্যবহার করুন।
তবে ঘরোয়া পরিচর্যায়ও কোনও উপকার না পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন।
(ছবি সৌ: Unsplash)