মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। দিনে অন্তত একটা মিষ্টিও মুখে না তুলতে পারলে গোটা দিনটাই অর্থহীন বলে মনে হয়। তবে এরকমটা শেষ কবে হয়েছিল তা আপনার মনে পড়ে না। কারণ, একটা তো কিছুই নয় দিনে বেশ কয়েকবার মিষ্টি খেয়েই নেন। এদিকে মিষ্টির প্রতি আপনার এই অমোঘ আকর্ষণ যে একাধিক রোগ ডেকে আনতে পারে তাও আপনার কাছে অজানা নয়। কিন্তু মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলাতে পারেন না। আর বেশি কড়াকড়ি করলে শেষমেষ আরও বেশিই মিষ্টি খেয়ে ফেলেন। এক্ষেত্রে একেবারে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ না করে চেনা মিষ্টির বরং একটা হেলদি ভার্সান বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন।
এই যেমন ধরুন লাড্ডু। উত্তর ভারতের এই অতি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় মিষ্টির রকমারি রসগোল্লা ও সন্দেশের মাঝে ঠিক জায়গা করে নিয়েছে বাঙালির মনে। তবে যে পরিমানে ঘি ও চিনি এই লাড্ডুতে ব্যবহার হয় তা নিয়মিত খেলে সমস্যা হতে বাধ্য। তাই এই লাড্ডুর একটা হেলদি রেসিপি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ অরিজিতা সিং। আমারন্থ বা রাজগিরার বীজ দিয়ে লাড্ডু তৈরি করেছেন তিনি।দেখে নিন রেসিপি-
প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ অমারন্থের বীজ সেঁকে নিন।
সেঁকা হয়ে গেল এবার এতে ২ কাপ জল ঢেলে দিন। এবার এর ঢাকণা দিয়ে অমারন্থের বীজগুলো সেদ্ধ কে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জল বীজগুলো পুরোপুরি শুষে নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেদ্ধ করুন।
এরপর এতে ২টো এলাচ থেতো করে মিশ্রণে দিয়ে গ্যাস থেকে নামিতে ঠাণ্ডা করতে দিন।
এবার আপনার পছন্দ মতো অল্প ড্রাই ফ্রুট ১ টেবিলচামচ ঘি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। বাদামি রঙ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এবার এই ড্রাই ফ্রুটস পাত্রে সিদ্ধ করে রাখা আমারনথ, ১/৩ কাপ গুঁড় (স্বাদানুসারে) মিশিয়ে আলাদা রেখে দিন।
মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হলে হাতের চেটোয় অল্প ঘি নিয়ে এবার লাড্ডু বানিয়ে ফেলুন।
আমারন্থকে এক কথা পুষ্টির খনি বলেলই চলে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি৬ ও ফোলেট।