ফের নতুন রূপে করোনাভাইরাস(coronavirus), এবার ওমিক্রন(omicron)। আর তার জেরে গৃহবন্দি অধিকাংশ। সংক্রমণ(spreading) রুখতে ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোম(work from home)। কেও গত দুবছর ধরেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে রয়েছেন কেও আবার নতুন করে সংক্রমণের তীব্রতা বাড়ায় বাড়ি থেকে কাজ শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ওজন বৃদ্ধি। একদিকে বন্ধ জিম অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করার ফলে বেলি ফ্যাট, যা কমাতে রীতিমতো নাস্তেনাবুদ হতে হয়। এছাড়া ওজন বৃদ্ধির জন্য সমান জায়ী অনিয়ন্ত্রিত ঘুম ও খাবার খাওয়ার অভ্যেস।
কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার এই সব কারণ নিয়ে চিন্তাভাবনা না করে অনেকেই ওজন কমাতে এমন মরিয়া হয়ে ওঠেন যে খাওয়া দাওয়া, বিশ্রাম শিকেয় তুলে বাড়তি মেদ ঝরানো ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। এর ফলে অতিরিক্ত শরীরচর্চা, নিত্যদিনের খাদ্যতালিকা থেকে প্রয়োজনীয় খাবার বাদ দেওয়ায় ওজন কমা তো দুরস্ত উল্টে শরীরের ক্ষতি হয় ঢের বেশি। কমে যায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
তাই এই নিয়ে সবাইকে সচেতন করতে নিজের ইনস্টাগ্রাম(instagram) অ্যাকাউন্টে ফিটনেস গোল(fitness goal) নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন নিউট্রিশনিস্ট(nutritionist) নিধি গুপ্তা (Niddhi Gupta)। রয়েছে ৫টি টিপস সেগুলি কি কি দেখে নিন-
View this post on Instagram
নিয়মকানুন অক্ষরে অক্ষরে পালনের বদলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
সোশাল মিডিয়া(social media) ইনফ্লুয়েনসারদের (influencer) দেখে রাতারাতি পার্ফেক্ট ফিগার বা ফিজিক পেতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন না। নিত্যদিনের জীবনযাপনকে কঠিন নিয়মের বেড়াজালে না বেঁধে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা বেশি প্রয়োজনীয়। যেমন মাঝে মধ্যে নিয়মের বাইরে গিয়ে ইচ্ছে মত চলেই পারেন। তবে এটা যেন অভ্যেসে হয়ে না ওঠে। তাই অধিকংশ সময় নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করুন। কোনও মতেই শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবেন না। এতে শরীরের ক্রিয়া প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
ওজম কমাতে গিয়ে পছন্দের খাবার একেবারে বাদ দেবেন না
পছন্দের খাবার একেবারে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ না দিয়ে বরং পরিমিত মাত্রায় খান। এমনকি চাইলে পছন্দের চকোলেট কেক, কিংবা পিত্জা বা বার্গার মতো জাঙ্ক ফুড মাসে একদিন খেতেই পারেন। তবে তা যেন বাড়বাড়ি না হয়। তাহলেই বিপদ। এতে নিত্যদিনের একই খাবারে একঘেয়েমি আসবে না।
শরীরচর্চা শুরু করলে প্রথমে আপনার পছন্দের যোগাসন বা ওয়ার্কআউট করন
যে এক্সারসাইজ আপনার ভাল লাগে না সেটা দিয়ে শরীরচর্চা শুরু করবেন না। তাই প্রথমটা একেবারে সহজ রাখতে পারেন। যেমন সকালে বা বিকেলে জগিং বা হাঁটতে পারেন। প্রথমে পাঁচ হাজার পা চলুন তারপর আসতে আসতে সাত হাজারে পা হাঠুন। এভাবেই নিজের সুবিধে মতো বাড়াতে থাকুন। একবার অভ্যেস, হয়ে গেলে তখন দেখবেন আর সমস্যা হবে না।
সুষম আহার অত্যন্ত জরুরী
মনে রাখতে হবে শুধু শরীরচর্চা করলেই ওজন কমে না বরং পুষ্টিকর ও সুষম আহারের প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিকর ও সুষম আহার চোখ, চুল ও ত্বক ভাল রাখতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনও এক রকমের খাবার না খেয়ে সব ধরনের খাবার মিলি.য়ে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ট্র্যাক্টের (gut health)স্বাস্থ্য ভাল থাকে। খারাপ গাট মানেই একাধিক রোগব্যধি।
এ সবের পাশাপাশি আর একট বিষয় ভাল করে বুঝতে হবে। সেটা হল ফিটনেস রিজিম এক হতে পারে না। তাই আপনার বন্ধু আমিষ খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে ওজন কমেছে তাই দেখেও আপনিও একই পথে হাটবেন তা কিন্তু নয়। প্রত্যেকের শরীরের ধরণ আলাদা। তাই শরীরচর্চা, ডায়েট সব কিছুই আলাদা হওয়া উচিত। তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের শরীরের চাহিদার অনুযায়ী খাবার খান ও শরীরচর্চা করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।।