বিরিয়ানি, পাঁঠার মাংসের ঝোল কিংবা কম মশলায় তৈরি ডিমের ঝোলের স্বাদ এক নিমেষে বাড়িয়ে দেয় তেজ পাতা। আমিষ হোক বা নিরামিষ রান্না ঘরের এই নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধিগুনো ভরপুর। তেজপাতায় রয়েছে কপার, পোটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, আয়রন, এই প্রত্যেকটি উপকরণই শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক পুষ্টিসমুহের অন্যতম। তবে এখানেই শেষ নয় তেজপাতার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কার্যকারিতাও রয়েছে। এর ফলে রক্তে জমাট বাঁধা রোধ করে এবং ত্বক ও হার্টের সমস্যায় এটা ভীষণ কার্যকরী। তাই রান্না ছাড়াও নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই তেজপাতা রাখতে চাইলে এই তেজপাতার দারুণ একটা কনককশন তৈরি করেও খেতে পারেন।
তেজপাতার এই কনককশন বানাতে লাগবে
কীভাবে বানাবেন এই ডিককশন
প্রথমে তিনটে উপকরণ ভালভাবে পিষে নিন।
এরপর ১ লিটার জল ফুটিয়ে নিন। জলে ফুটে গেলে এতে বেটে রাখা মিশ্রণ মিশিয়ে দিন।
ফের একবার জল ফুটিয়ে নিন। ফোটানোর ফলে জল এক লিটার থেকে কমে কমে ১০০ বা ১৫০ হয়ে গেলে আগুন নিভিয়ে দিন। তেজ পাতার ডিককশন তৈরি।
তেজ পাতার (bay leaves) এই ডিককশন(decoction) নিয়মিত খেলে এই সব সমস্যার থেকে রেহাই পাবেন
গায়ে, হাতে পায় ব্যথা (body ache)
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে অনেকের গায়ে, হাতে পায়ে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এই সময় যদি এই তোজপাতার ডিককশন করে খাওয়া যায় তাহলে দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যাবে শরীর হালকা লাগবে, আরাম পাবেন। পাীঠে ব্যথা হলে দিনে দু’বার খান এই পানীয় । এর পাশাপাশি কোমড়ে তেজপাতা তেলের মালিশ করলে আরাম পাবেন।
মাথা যন্ত্রণায় আরাম দেয় (head ache)
মাথা যন্ত্রণায় এই ডিককশন খেতে পারেন আরাম পাবেন। পাশাপাশি মাংশপেশিতে টান ধরলেও এই পানীয় খেতে পারেন। দু’ক্ষেত্রেই আরাম পাবেন। এমনকি শিরায় টান লাগলে কিংবা শিরা ফুলে গেলেও এই তেজপাতার ডিককশন খেলে আরাম পাবেন, ফোলা কমবে।
ওজন বাড়তে দেয় না (controls weight gain)
এই ডিককশন মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে এর ফলে পেট দীর্ঘসময় ধরে ভরা থাকে। তাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি ইচ্ছাও কম কমে যায়। অন্য সময় যা খাওয়ার ফলে কয়েক কেজি ওজন বাড়তে পারে।
(ছবি সৌ:Unsplash)