কুকুর ছানা প্রায় সকলের প্রিয়। বাড়িতে নিয়ে এসে যত্ন করে আদরে পালন করেন অনেকেই। সারাদিন অফিসের কাজ করার পর বাড়ি এসে যখন ছানাটি আপনার কাছে দৌড়ে আসে, আপনার সব ক্লান্তি চলে যায়। স্নেহের বশে নিজের মুখের খাবারও পোষ্যকে দিয়ে দেন। তবে আপনার এই ভালোবাসাই পোষ্যর শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
চকোলেট: থিয়োব্রোমিন নামক এক ধরনের অ্যালকালয়েড রয়েছে চকোলেটে, যা কুকুরদের মেজাজ বিগড়ে দেয়। পাশাপাশি এতে তাদের পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। চকলেট খেলে কুকুরের বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি কুকুরদের হার্টরেট বাড়িয়ে পর্যন্ত দেয়। তাই ভুল করেও কুকুরকে চকলেট দেবেন না।
আঙুর ও কিশমিস: কুকুরের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর আঙুর ও কিশমিস। এতে কিডনি ফেলিওর হতে পারে। সামান্য আঙুরও ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে দিতে পারে আপনার কুকুরের।
আরও পড়ুন: তিলের আয়ুর্বেদিক গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন!
পেঁয়াজ ও রসুন: কুকুকের খাবারে পেঁয়াজ, রসুন দিলে তাতে কুকুরের রক্তকণিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা পরে অ্যানিমিয়াকে ডেকে আনে।
অ্যাভাকাডো: কুকুরকে দেওয়া চলবে না অ্যাভাকাডো। এতে থাকা পার্সিন কুকুরের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকারক।
অ্যালকোহল: কুকুরের দেহে যাতে কোনও ভাবেই অ্যালকোহল না যায় সে দিকে খেয়াল রাখবেন। কোনভাবে কুকুরের শরীরে অ্যালকোহল গেলে চরম বিপদ।
কফিযুক্ত খাবার: আপনার আদরের কুকুর ছানাকে কফিযুক্ত কোনও খাবার দেবেন না। কারণ এতে থাকা ক্যাফেইন তাদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এতে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ঘি ও মাখনযুক্ত খাবার: আপনার কুকুরকে ঘি বা মাখনযুক্ত খাবার একদম দেবেন না। এগুলি খেলে আপনার কুকুর ছানার লোম উঠে যাবে এবং শরীরে ভীষণ প্রভাব ফেলবে।
কী খাওয়াবেন?
কুকুর ছানাকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সেদ্ধ চিকেন খাওয়ান। শাকসবজি খাওয়াতে পারেন। এছাড়াও বাজার থেকে কিনে আনা বিভিন্ন ধরনের ডগফুড বিশেষজ্ঞর পরামর্শে খাওয়াতে পারেন।
আরও অন্য খবর দেখুন