শীতের মরশুমে পালং শাক সবাই খেয়ে থাকেন। তবে এই শাকের গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন। পালং প্রত্যেকদিন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে। এই শাকের আরোও অনেক গুণ আছে। পালং শাক শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী তা নয়, বার্ধক্যের লক্ষণও কমায়। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে আন্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম। এই সব উপাদান চুলের জন্য যেমন ভালো তেমন ত্বকের জন্যও খুব ভালো।
আরও পড়ুন: লবঙ্গের গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন!
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে প্রোটিনের পরিমাণ ২.০ গ্রাম। এই শাকে কার্বোহাইড্রেট ২.৮ গ্রাম, আয়রন ১১.২ মি. গ্রাম, ফসফরাস ২০.৩ মি. গ্রাম, নিকোটিনিক এসিড ০.৫ মি. গ্রাম, অক্সালিক এসিড ৬৫২ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মি. গ্রাম, পটাশিয়াম ২০৮ মি. গ্রা আছে। এতে আঁশের পরিমাণ ০.৭ গ্রাম। এতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এতে ভিটামিন-এ আছে ৯৩০০ আইইউ, রিবোফ্লোবিন ০.০৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি ২৭ মি. গ্রা, ও থায়ামিন ০.০৩ মি. গ্রাম।
পালং শাকে ওমেগা ৩ ও ফ্যাটি আ্যসিড থাকায় চুলের জন্যও ভালো। চুলের গোড়া মজবুত করে এই শাক। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে পালংশাক। পালং শাকে আয়রন থাকায় রক্তচাপ কমায়। এটি ত্বকে বলিরেখা ও দাগ দূর করতে সক্ষম। এই শাকে ভিটামিন বি থাকায় সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হাড়ের ক্ষয় রোধ এবং স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে পালং শাক। এতে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টস গুলো দেহের ফ্রি রেডিকেলকে নিরপেক্ষ করে। ফলে দেহ থাকে ক্যানসারের আক্রমণ থেকে ঝুঁকিমুক্ত।
আরও অন্য খবর দেখুন