কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চান এদিকে চিনি ও বেশি মাত্রায় সোডিয়াম যুক্ত খাবারের হাতছানি এড়াতে পারেন না। এমনিতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গের তুলনায় কিডনির যত্ন নেওয়া তেমন কিছু কঠিন না। কিন্তু নিত্যদিনের ব্যস্ততায় কিডনিকে সুস্থ রাখতে সেই সামান্যতম কাজ করতেই ব্যার্থ হয়ে পড়ি অনেকেই। এদিকে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান ছেঁকে নেওয়া ও সমস্ত বর্জ্য পদার্থ নিকাশ করা এবং প্রয়োজনীয় হরমোন উত্পাদন করার কাজ করে এই কিডনি।
কিডনির স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে তা নিয়ে সচেতন থাকা অত্যাবশ্যক। শুধু রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ সরিয়ে ফেলার কাজই নয় বরং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখা, শরীরে হেমোগ্লোবিনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা ও শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট বজায় রাখার কাজ করে কিডনি। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কাজ আমাদের খাদ্যাভাসে সামান্য কিছু বদল করলেই সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-
১. কিডনি সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত মাত্রায় জল খান। আর চেষ্টা করুন সোডিয়াম যুক্ত খাবার যথাসম্ভব কম খাওয়ার। এতে শুধু কিডনি নয় শরীরও ভাল থাকবে।
২. কিডনির কোনও সমস্যা যেমন কিডনি স্টোন, ক্রনিক কিডনির অসুখ থাকলে প্রোটিন যুক্ত খাবার খুব বুঝে খেতে হবে। বেশি প্রোটিন যুক্ত খাবার যে কোনও মুহূর্তে কিডনির বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই নিয়ে চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
৩. প্রোসেস্ড, প্যাক করা কিংবা রিফাইন খাবারে ন্যাচারাল ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইব্রাস কার্ব কম থাকে উল্টে চিনি থাকে অনেক বেশি মাত্রায়। এই সব চিনি যুক্ত খাবার শরীরে হেলে শিরা ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের আয়তন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরে ইনফ্লেমেশনের সৃষ্টি হয় আর প্রোটিনের ক্রস লিঙ্কিং শুরু হয়। এদিকে এনজাইমের অভাবে প্রোটিনের এই ক্রস লিঙ্কিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে কিডনি। আর কিডনির এই ক্ষয়ের ফলে অ্যাডভানসড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্ট তৈরি হয়। এই পদার্থ গুলি শরীরের নানা ক্রিয়া প্রক্রিয়ায় বাঁধা হয়ে দাড়ায়। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে দ্রুত। তাই এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমানে ফল, শাক সবজি খাবার নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার। আর যথাসম্ভব প্রসেস্ড খাবার থেকে দূরে থাকুন।
(ছবি সৌ: Unsplash)