প্রত্যেক মহিলার শারীরিক গঠন ও শারীরবিধান আলাদা। সেরকমই ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যাও প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভিন্ন। যেমন ঋতুস্রাবের সময় কেউ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন কেউ আবার তুলনামূলক সুস্থা থাকেন। কারও আবার কোনও সমস্যাই হয় না।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ঋতুস্রাবের সময় বেশি কিছু সমস্যা যেমন বমি ভাব, হালকা জ্বর ভাব, পেট ফোলা, বিরক্তি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, পেট খারাপ অধিকাংশ মহিলার মধ্যেই কম বেশি দেখা যায়। এই সব সমস্য শুধু শারীরিকভাবেই নয় মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত করে দেয়। তাই ঋতুস্রাবের এই কটা দিন শরীর সুস্থ রাখতে এবং মেনস্ট্রুয়্যাল ক্র্যাম্পের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু টিপস তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন ডাঃ দীক্ষা ভাবসার যেমন-
সার্কেডিয়ান রিদম মেনে চলা
ঋতুস্রাবের দিনগুলি সূর্যোদয়ের আগে কিংবা কিছুক্ষণের মধ্যে উঠে পড়ার চেষ্টা করুন। সুর্যোদয়ের পর ব্রেকফাস্ট করুন ও সূর্যাস্তের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রাতের খাওয়ার খেয়ে নিন। আয়ুর্বেদের মতে এই সার্কাডিয়ান রিদম কিংবা ২৪ ঘণ্টার এই চক্রের সময় মেনে কাজ করলে হরমোনাল ব্যালেন্স ভাল থাকবে। ঋতুস্রাবের সমস্যা তুলনামূলক কম থাকবে।
ক্যাফেন এড়িয়ে যেতে হবে
সকালে উঠেই ক্যাফেন যুক্ত পানীয় যেমন কফি বা চা খাবেন না। বরং খালি পেটে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা ৫টা কিসমিস, ৪টে আমন্ড, ২টো আখরোট, ১টা খেজুর, বা জুমুর খান। শরীরের শক্তির জোগাবে।
নিয়মিত মেডিটেশন, প্রাণায়াম ও যোগাসন করতে হবে
আপনার সুবিধেমতো প্রাণায়াম যেমন অনুলোম-বিলোম, ব্রহ্মরি ও নানা রকমের যোগাসন যেমন বজ্রাসন, বালাসন, ভদ্রাসন ইত্যাদি করতে পারেন। এগুলি শরীরকে ঋতুস্রাবের সময় আরাম দেয় এবং এগুলো করাও যথেষ্ট সহজ। এই সময় সক্রিয় থাকলে পেলভিকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং এর ফলে এনডোরফিন নিঃসরণ বাড়ে এতে মাংশপেশির খিচুনি কমে।
গরম চা খান
আর্য়ুবেদে নানা রকমে চা রয়েছে যেগুলি এই সময়ের জন্য বেশ উপকারী যেমন জিরে ও মৌরি দিয়ে চা, পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা, জোয়ান দিয়ে চা ও মেথি দিয়ে চা।
প্রচুর পরিমাণে জল খান
পেট ফোলা ভাব, মেনস্ট্রুয়াল ক্রাম্পের সময় বেশি করে জল খাওয়া উচিত। চাইলে ফ্লেভারড মিনারে ওয়াটার খেতে পারেন। মিন্ট ওয়াটার খেতে পারেন। এই সময় হাইড্রেটেড থাকা ভীষণ জরুরী।
(ছবি সৌ: Unsplash)