ওজন বাড়লে সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায় বেলি ফ্যাট। বেশি পরিমানে হাই ফ্যাট ফুড খেলে পেটে চর্বি জমে। এদিকে বিষয়টা তো আর শুধু ভুড়ি বেড়ে যাওয়া নয় বরং পেটে চর্বি জমা মানে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সংকেত আবার সুত্রপাতও বটে। এদিকে শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় পেটে যেমন সব থেকে আগে চর্বি জমে ঠিক তেমনই আবার ওজন কমাতে গেলে পেটের চর্বি কমাতে গেলে খাটনি হয় সব থেকে বেশি। তাই বেলি ফ্যাট কমাতে গিয়ে যদি ইতিমধ্যেই হিমশিম খাচ্ছেন। তা হলে জেনে রাখুন অল্প কদিনে এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না। বরং নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া সঙ্গে শরীরচর্চা দুটোই করলে তবেই বেলি ফ্যাট কম করতে পারবেন আপনি। আর সেক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে, পারলে আখেরে লাভ হবে আপনারই-
প্রত্যেকদিন একটা করে অ্যাভোকাডো খান
মহিলাদের বেলি ফ্যাট কমাতে দারুণ কাজের অ্যাভোকাডো। এতে বিশেষ ধরনের মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান তাড়াতাড়ি বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন পিনাট বাটার
নাট বাটার থেকে ভাল মাত্রায় প্রোটিন পাওয়া যায়। পিনাট বাটারে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে এক ধরনের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে। তাই এই পিনাট প্রোটিন খেলে অল্পতেই পেট ভরে যায়। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং খিদে কম করে। যাদের পেটের খিদের থেকেও চোখের খিদের বেশি তারা এই পিনাট বাটার অবশ্যই খান। উপকার পাবেন। তবে যাদের পিনাট বাটারে অ্যালার্জি আছে তারা ভুলেও খাবেন না।
ওটসের পাশাপাশি কিনুওয়া খেয়ে দেখতে পারেন
এই বিশেষ ধরনের শষ্যটি নানা ধরনের পুষ্টিতে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট, এই সব উপাদান তাড়াতাড়ি বেলি ফ্যাট কমাতে ভীষণ কার্যকারী। এর পাশাপাশি কিনুওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হেলথ সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রিন টি
নানা রকমের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে গ্রিনটিতে। এই উপাদানগুলি আমাদের শরীরের ফ্যাট ব্রেকারকে আরও বেশ করে ফ্যাট ব্রেক করতে বাধ্য করে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয় গ্রিন টি।
ওজন কমাতে ভীষণ কার্যকরী নানা রকমের জাম
রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি কিংবা ব্লুবেরি হজম সংক্রান্ত নানা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই নানা রকমের জামে নাকি এমন সব উপাদান আছে যা সহজে ফ্যাট বার্ন করে। তাই জাম খেলে ওজনও কমে আবার শরীরও ভাল থাকে।
তাই ক্রমবর্ধমান বেলি ফ্যাটকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই খাবারগুলি নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। নিশ্চই উপকার পাবেন তবে আপনার শরীরের বুঝে কত পরিমাণে এই খাবারগুলো খেতে পারবেন সেক্ষেত্রে ডায়টিশিয়ানের পরামর্শ মেনে চললে এই ওয়েট লস জার্নি নিঃসন্দেহে সহজ হবে। ফলও ভাল পাবেন।