কলকাতা: প্রথম একাদশে থাকতে চাই। রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে চাই না। তাই বড় সুযোগ পেয়ে তৃণমূলে এলাম। রবিবার বাবুল সুপ্রিয়র সাংবাদিক সম্মেলনে এই বক্তব্য ঘিরেও রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। ‘প্রথম একাদশ’ বলতে বাবুল ঠিক কী বুঝিয়েছেন?
রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামীতে তৃণমূল কংগ্রেসে বাবুলের ভূমিকা কী হবে, তা লুকিয়ে আছে এই ‘প্রথম একাদশ’ কথাটির মধ্যে। সাংবাদিকরা বার বার প্রশ্ন করলেও বাবুল কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন ঠিক কী সুযোগ দিয়েছেন তাঁকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দরকারে দিদির সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছি, প্রয়োজনে বিজেপি মন্ত্রীর সঙ্গে ধোকলাও খাব
বিজেপিতে প্রথম একাদশে স্থান না পেয়েই কী দল ছেড়েছেন তিনি? বাবুলের বক্তব্যে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। বাবুল আজ বলেন, আমি প্রথম একাদশে থেকে খেলতে চাই। যদি মোহনবাগানের প্রথম একাদশে সুযোগ না পাই, তাহলে মোহনবাগান বি-টিমের হয়ে খেলব না। দরকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলব।
সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ। তার কয়েকদিনের মধ্যে বাবুল তৃণমূল যোগদান করায় অনেকেই মনে করেছিলেন, অর্পিতা ছেড়ে আসা আসনে হয়তো বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। তবে অর্পিতার আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে করা প্রশ্নও কিছুটা হালকা মেজাজেই উড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: টিবরেওয়াল বালাই, ভবানীপুরে ভোটপ্রচার এড়াতে তৃণমূলকে অনুরোধ করবেন বাবুল
দু’বারের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যে লোকসভা-রাজ্যসভার সাংসদ পদের প্রতি খুব একটা মোহ নেই সেই ইঙ্গিত আজকে দিয়ে রেখেছেন বাবুল। সে কারণেই জানিয়েছেন, বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন। স্পিকার সময় দিলে সে দিনই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
তবে কি মমতার ক্যাবিনেটে স্থান পাবেন বাবুল? রাজনৈতিক মহলের মতে, পুজোর পরই বাকি চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনও একটি আসন থেকে বাবুলকে প্রার্থী করা হতে পারে। জিতলে হয়তো মমতার মন্ত্রিসভায় তাঁকে ঠাঁই দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বুধবারই সাংসদ পদ ছাড়ছেন বাবুল, শিশির-দিব্যেন্দুকে চাপে ফেলতে তৈরি তৃণমূল