কলকাতা: শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন। বলেছিলেন, ‘বিজেপির টিকিটে আসানসোলে জিতেছিলাম। তাই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেব। শীঘ্রই দিল্লি যাব।’ রবিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিলেন, বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন। স্পিকার সময় দিলে সে দিনই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই স্পিকার ওম বিড়লার কাছে সময় চেয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, বাবুল সাংসদ থেকে ইস্তফা দিলেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজে চাপ বাড়াবে দল। কাঁথি এবং তমলুকের দুই সাংসদ এ বার লোকসভার বাদল অধিবেশনে যোগ দেননি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের গতিবিধি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপি সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছিলেন তাঁরা। কাঁথিতে অমিত শাহের সভামঞ্চে শিশিরকে দেখা গিয়েছিল। আবার হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি কর্মসূচির মঞ্চে হাজির ছিলেন দিব্যেন্দু।
আরও পড়ুন: আসানসোলে বাবুলের ইস্তফার অপেক্ষা, শিশির-দিব্যেন্দুকে বিঁধতে চলেছে তৃণমূল
অমিতের সভায় যোগদানের ছবি দেখিয়ে শিশিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে তেমনটা করতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। দিব্যেন্দু অবশ্য বিজেপি ঘনিষ্ঠতার কথা মানতে চাননি। তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি এবং বাবা (শিশির)— দু’জনেই তৃণমূলে আছি। অন্য কোনও দলে যাইনি। যাওয়ার প্রশ্নও নেই।’
আরও পড়ুন: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মোদি বিরোধিতার অন্যতম মুখ মমতা: বাবুল