পুজোর এখনও মাস দু’য়েক দেরি। তবে পুজোর কেনাকাটার আগেই ওজনটা কমিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন অনেকেই। না হলে যে পুজোর সাজের জন্য মানানসই পোশাক বাছতে গিয়ে মুশকিলে পড়তে হবে! এই ভাবনা যদি আপনারও হয় তা হলে সময় মতো ওজন কমাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি নিত্যদিনের সঙ্গী করুন এই সব হেলথ ড্রিংক্স। উপকার পাবেন। যেমন-
জিরে ভেজানো জল
ওজন কম করতে হলে এই জিরে ভেজানো জল বেশ কার্যকরী। এর জন্য রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই জল ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। সকালে খালি পেটে যাদের ইষদুষ্ণ জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়। তারা পাতিলেবুর রসের বদলে এই জিরে ভেজানো জল খেতে পারেন।
গরম জলে পাতিলেবুর রস
পেটের চর্বি কম করতে গেলে লেবু জলের কার্যকারিতার তুলনা হয় না। অ্যাসিডিটির সমস্যা না থাকলে খালি পেটে ইষদুষ্ণ জলে পাতিলেবুর জল মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন।
গ্রিন টি
ওজন কমাতে চাইলে সকালে খালি পেটে গ্রিনটিও খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর মাত্রায় পরিফেনলস থাকে। এই উপাদান মেটাবলিজম বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
দারুচিনি ভেজানো জল
খালি পেটে দারুচিনি ভেজানো জল খেলেও পেটের মেদ ঝরে। এর জন্য এক গ্লাস জলে এক থেকে দু’টুকরো দারুচিনি দিয়ে জল ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এই জল ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে খেয়ে নিন।
মৌরি ভেজানো জল
শুধু হজম করতেই নয় ওজন কমাতেও বেশ কার্যকরী মৌরি। এর জন্য রাতে জলে মৌরি ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে ওই জল ছেঁকে খেয়ে নিন খালি পেটে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
আদার জল
পেটের একাধিক সমস্যায় আদার উপকারিতা অনকেই জানেন। তবে ওজন কমাতে আদা বেশ কার্যকরী তা হয়ত অনেকেই জানেন না। এর সঠিক উপকার পেতে জল আদা কুচিয়ে সঙ্গে কয়েকটা তুলসী পাতা দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। জল ফুটে গেলে সেটা ছেঁকে ঠাণ্ডা করে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।
তবে এই সব পানীয়র সঠিক উপকারিতা পেতে গেলে এই বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। যেমন-
রাতে বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাওয়ার খাবেন না
প্রচুর পরিমাণে জল খান।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
শরীর সুস্থ রাখতে বাইরের খাবার যত পারুন কম খান।