অতিরিক্ত ফ্যাট জমা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আমাদের শরীরের একাধিক জায়গায় ফ্যাট জমে। তাই সময় থাকতে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ না আনলে পরবর্তীকালে এটি বড় কোনও রোগে পরিণত হতে পারে। ঠিক যেমনটা হয় ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো লিভার বা যকৃতে ফ্যাট জমে। সময় থাকতে এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত না করলে লিভারের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা যেমন সিরোসিস অফ লিভার পর্যন্ত হতে পারে।
কীভাবে হয় ফ্যাটি লিভার
লিভারে এই ফ্যাট জমা হলে শরীরে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। লিভারের নিত্য দিনের কাজ প্রভাবিত হয়। লিভার আমাদের শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় তা আজকাল আর আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শরীর সুস্থ রাখতে লিভার ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। খাবার হজম করা থেকে শুরু করে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশের কাজ করে লিভার। কিন্তু লিভারে ফ্যাট জমলে এই নিত্যদিনের কাজে বিঘ্ন ঘটে। ফলে পেট সহ শরীরের একাধিক অংশে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার
দু’ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়
অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করেন যারা তাদের মধ্যে এই অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। অন্যদিকে একটানা খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম ও খারাপ লাইফস্টাইলের কারণে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। চিন্তার বিষয় যে এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা শরীরের ঘাপটি মেরে থাকে। রোগটি শরীরে বাসা বাঁধলে প্রথম দিকে কিছুই বোঝা যায় না আর যখন জানা যায় ততদিনে বড় আকার নিয়ে ফেলে ফ্যাটি লিভার। তাই ফ্যাটি লিভারকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। তাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যাতে আপনার বা আপনার পরিবারের কারও না হয় সে দিকে নজর রাখুন। আর দৈনন্দিন জীবনযাপনে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন-
অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার অভ্যেস থেকে হতে পারে ফ্যাটি লিভার
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা মূলত আমাদের খাওয়া দাওয়ার অভ্যেসের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে। অল্প বয়স থেকেই ট্র্যান্স ফ্যাট কিংবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে ওজন বাড়তে থাকে। বাড়তি মেদ শরীরের অন্যান্য অংশের মতো লিভারেও জমা হয়। দেখা দেয় ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। তাই এই ধরণের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
নিত্যদিনের জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন
ফ্যাটি লিভার মানেই লিভারের ওপর ফ্যাট বা চর্বির স্তরে জমে যাওয়া। এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতে হবে। এর জন্য খেতে হবে সুষম আহার। করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা। নিয়মমাফিক এই কাজগুলো একটানা করে গেলে লিভারে জম ফ্যাট ও আসতে আসতে কমতে থাকে।