কোভিডকালে ওয়ার্ক ফর্ম হোম হোক কিংবা পড়াশোন আবার মরোনঞ্জন সব কিছু মিলিয়ে চাপ বেড়েছে চোখের ওপর। বর্তমান সময়ে কোভিড পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও গত দু’বছরে অভ্যেস কিন্তু রয়েই গেছে। ভার্চুয়াল্ডের হাতখানির কাছে হার মেনেছে রাতের ঘুমের তাগিদাও। আর এই সব কিছু মধ্যে চোখের ওপর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। দীর্ঘক্ষণ ফোন, ল্যাপটপে মুখ গুজে থাকার ফলে ছোট থেকে বড় সকলের মধ্যে একাধিক চোখের সমস্যায় দেখা দিয়েছে। এই সময় চোখ ভাল রাখতে নিয়মিত এই আই এক্সারসাইজগুলো করলে চোখের ক্লান্তি ভাব কমবে।
পামিং এক্সারসাইজ
হাতের দুটো তেলো এক সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ঘষতে থাকুন। এভাবে দু হাত ঘষতে ঘষতে হাতের তেলো দু’টো গরম হয়ে গেলে চোখ দুটর ওপর রাখুন। যেন চোখের আসেপাসটা ঘণ কালো দেখায়। চেষ্টা করুন আঙুলের ফাঁক দিয়ে যত সম্ভব যেন কম আলো ঢোকে। এই ভাবে মিনিট তিনেক বসে থাকুন এই অবস্থাটা উপভোগ করুন।
হাতের গরম ভাব চলে গেলে চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিন। তবে চোখ বন্ধ রাখুন। অন্তত আরও দু’বার এই ভাবে চোখের ওপর গরম হাত রাখুন এবং ঠাণ্ডা হয়ে গেল হাতে সরিয়ে নিন। শেষ বারে আসতে আসতে চোখ খুলুন এবং চোখের পাতা ঝাপটে নিন।
অফিসে কিংবা বাড়িতে একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর এই আই এক্সারসাইজ করতে পারেন। চোখের ক্লান্তি দূর হবে, দৃষ্টিশক্তি বাড়বে, স্ট্রেস কমবে।
সাইডওেয়ে রোলিং
চোখের এই এক্সারসাইজ নতুন কিছু নয় তবে চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভীষণ কার্যকরী। এর জন্য চেয়ার সোজা বসে আই লেভেলের বরাবর পেন, পেনসিল বা ইন্ডেক্স ফিঙ্গার সামনে রাখুন। এইবার পেন, পেনসিল বা ইন্ডেক্স ফিঙ্গার এক দিক থেকে অন্যদিকে নিয়ে যান। এই এদিক ওদিক ঘোরানার সময় এক দৃষ্টিতে পেনসিল বা আঙুলকে অনুসরণ করুন তবে গলা যেন স্থির থাকে। এই ভাবে ৫ থেকে ১০ বার করে করে বিশ্রাম নিন। আবার চাইলে সামনে এমন ভাবে চোখের মণি সার্কুলার মোশনে ঘোরাতে পারেন যেন মনে হবে সামনে কোনও অদৃশ্য বৃত্ত রয়েছে।
ডিস্ট্যান্ট গেজিং
যারা একটানা অনেকক্ষণ স্ক্রিনের সামনে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে কাটান তাদের জন্য এটা খুব উপকারী। তাই চোখকে বিশ্রাম দিতে কিছুক্ষণ দূরে কোনও বস্তুর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। আবার বিশেষ কোনও বস্তুর দিকে তাকাতেই হবে তেমনটা নয় জানালার কাছাকাছি বসলে জানালার বাইরেও খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারেন। এটা যে শুধু চোখের জন্য তা নয় বরং মস্তিষ্ক ও কোনও কাজে দক্ষতা অর্জনেও সাহায্য করে।