বিষ্ণুপুর: বাঁকুড়ার ই-ওয়ালেট প্রতারণা কাণ্ডে এবার ভুয়ো নথি তৈরির কারখানার খোঁজ পেল পুলিশ৷ বাঁকুড়া জয়পুরের রাজারবাগানে ধৃত দীপক গুই-য়ের বাড়িতে সেই কারখানার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন-কাবুলের অদূরে তালিবান, ভিডিও বার্তায় একজোট হয়ে লড়াইয়ের ডাক প্রেসিডেন্ট ঘানির
সূত্রর খবর, দীপকের বাড়ি থেকে পুলিশ একটি কম্পিউটার উদ্ধার করেছ। সেই কম্পিটারের হার্ডডিস্কে বহু ভুয়ো আধার ও ভুয়ো ভোটার কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন৷
আরও পড়ুন- এই ভারতের জন্য আমরা লড়িনি, আফসোসের সুর ১১০ বছরের সংগ্রামী কৃষকের গলায়
দীপকের পরিবার সূত্রে দতন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বেঙ্গাই কলেজে দর্শন নিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি আইটিআই কলেজে পড়াশুনা করছিল৷ লকডাউনে স্থানীয় বামুনারী মোড়ে সিম বিক্রি ও রিচার্জের কাজ করত৷ নিজের কম্পিউটার থেকে ভুয়ো আধার কার্ড এবং ভুয়ো ভোটার কার্ড বানিয়ে দিতে সাহায্য করত দীপক৷ কিন্তু, দীপকের বাবা তা জানতেন না বল জানিয়েছেন৷ তাঁর বাবা বলন, কাউকে না জানিয়ে কম্পিউটার কিনেছিল দীপক৷ সেই কম্পিউটার কী কাজ করত তা জানা ছিল না৷
আরও পড়ুন-ডিএনএর রহস্যের খোঁজে নাসা, গবেষণায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরতী
ভুয়ো নথি তৈরির উপার্জন থেকে কম্পিউটার এবং নতুন বাইক কিনেছিল দীপক৷ দীপকের ভুয়ো নথি ওন্দার সিম কার্ডের ডিলার রাজারাম বিশ্বাসের কাছে যেত। তারপর অ্যাক্টিভেশন সিম গুলি মাস্টারমাইন্ড অভিষেকের কাছে পৌঁছত৷ সেখান থেকেই চলত সাইবারের অন্ধকারের জগত থেকে রোজগার। এইভাবেই সাইবার চক্রের জাল বিস্তৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন-বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করলে কোনও আফগান সরকার স্বীকৃতি পাবে না: ভারত
এই ঘটনায় শুক্রবার রাতে নতুন করে ফের আর ১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ধৃত ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিত। ধৃতের নাম বিভাস কর্মকার। ভুয়ো আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড বানানো ছিল তার কাজ৷ সবমিলিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।