বীরভূম: অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পর বীরভূমে আর কাউকে জেলা সভাপতি করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৯ সদস্যের একটি কোর কমিটি (Birbhum TMC Core Committe) তৈরি করে দিয়েছিলেন। একদা অনুব্রতের বিরোধী বলে পরিচিত কাজল শেখ (Kajal Sekh)-কে সামনের সারিতে এনেছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে সেই ৯ সদস্যের কোর কমিটি ভেঙে দিয়ে পাঁচজনের নতুন কোর কমিটি তৈরি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কমিটিতে নাম ছিল না কাজল শেখের।
আরও পড়ুন: যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য এবার বিজেপির লিগ্যাল সেল
লোকসভা ভোটের আবহে অনুব্রত মন্ডলের (Anubrata Mondal) অনুপস্থিতিতে বীরভূমের জেলা সভাধিপতি করে কাজল শেখকে কেতুগ্রাম বিধানসভার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে কাজল শেখকে বড় দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় বীরভূমে ভোট। তার আগে কোর কমিটির সদস্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের সঙ্গে কথা বললেন কলকাতা টিভির প্রতিনিধি-
প্রশ্ন: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে জেলা তৃণমূল কোর কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর নির্বাচনের দিন কয়েক আগেই আবার সেই জায়গায় নিয়ে এলেন। জেলা তৃণমূলে ড্যামেজ কন্ট্রোল কি সম্ভব কম সময়ে?
কাজল: বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক আমি। যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী আমি। আমি নিজেকে নেতার থেকে একজন সাধারণ কর্মী বলতে ভালোবাসি। দল যখন যেভাবে যা দায়িত্ব দেবে অক্ষরে অক্ষরে সেটাই পালন করব। লোকসভা, বিধানসভা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে। যে পুরসভা গুলিতে তৃণমূলের ভোটের রেজাল্ট খারাপ ছিল, সেগুলো ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়েছে। ভালো রেজাল্ট হবে। ফলাফলের দিন মিলিয়ে নেবেন।
প্রশ্ন: বিজেপির টার্গেট ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন “তৃণমূল নেতারা চোর। ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার গ্যারান্টি আমরা নিচ্ছি”। কী বলবেন?
কাজল: দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমি প্রণাম জানাই। তবে কী জানেন, বাংলার মানুষ খুশি হত যদি প্রধানমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজের টাকা দিত। বাংলার ন্যায্য পাওনা টাকা দেয়নি। বিজেপি কেন্দ্রে সরকারে আসার পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের টাকা যারা লুট করেছে সেই টাকা ফিরিয়ে এনে প্রতিটি গরীব মানুষের একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেব। তা কিন্তু করেনি। ব্যর্থ হয়েছে মোদি সরকার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বছরে দু’কোটির চাকরি হয়নি। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে। ভোট এলে পরিযায়ীদের মত বিজেপি নেতারা আসে। অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। গো হারা হেরে ভূত হয়ে ফিরে যায়। কেন্দ্র থেকে বাংলার মানুষ বঞ্চনারই শিকার হয়।
প্রশ্ন: সারা ভারতবর্ষে বিজেপিকে কতগুলি আসন দেবেন? পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কতগুলি সিট পাবে? বীরভূমে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে কী হতে পারে?
কাজল: ২৪-এর লোকসভা ভোটেও সারা ভারতবর্ষে বিজেপি ২০০টি বেশি আসন পাবে না। মোদি সরকার এই লোকসভা ভোটে ক্ষমতায় থাকছে না। রেজাল্টের দিন মিলিয়ে নেবেন। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনা হবে। রাজ্যে তৃণমূল ৪২ এ ৪২ আসন পাবে। কাজলের গ্যারান্টি বীরভূমে দুটি লোকসভা আসন জিতবে তো বটেই, ভোটের মার্জিন ডবল হবে।
আরও খবর দেখুন