দিল্লি: করোনা রিপোর্টে জালিয়াতি নজরে আসতেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী করা হল উত্তর প্রদেশের কুম্ভমেলার আয়োজক ও প্রশাসককে। ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করা ল্যাবগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। পাঁচটি ডায়গোনেস্টিক সেন্টারের শীর্ষকর্তাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থা। উত্তরাখণ্ড পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য বরাত পাওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে ইডি। তবে ওই পাঁচটি ল্যাবের মধ্যে একটিও পর্যাপ্ত সংখ্যক পরীক্ষা করেনি, ভুয়ো নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিয়ে প্রশাসনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা
পাঁচটি ল্যাব মিলিয়ে প্রায় ৩কোটি ৪ লক্ষ টাকা বিল পাঠানো হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে। তদন্তের ভিত্তিতে ইডি জানিয়েছে, এই পাঁচটি সংস্থা কয়েকজন ব্যক্তির ভুয়ো নাম, ঠিকানার ভিত্তিতে বেশকিছু রিপোর্ট তৈরি করে। সেই তালিকায় এমন ব্যক্তির নাম রয়েছে যিনি কুম্ভমেলায় যাননি। হরিদ্বারে কুম্ভমেলা চলাকালীন আক্রান্তের হার ছিল ০.১৮ শতাংশ, যেখানে আসলে আক্রান্তের হার ছিল ৫.৩ শতাংশ। ভুল তথ্যের জেরেই করোনা আক্রান্ত রোগীরাও মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেই ঘুরে বেরিয়েছেন এবং তাদের থেকে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এভাবেই গোটা দেশের করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসের দোরগোড়ায়। ইডি ওই পাঁচটি ল্যাব থেকে ভুয়ো বিল, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও জমির দলিল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।