পরিবহণ দপ্তরের কথা মতোই সোমবার কলকাতায় নামল সিএনজি (CNG) বাস। আপাতত দুটি বাস চালানো হবে।গাড়ির পর্যবেক্ষণে এদিন নিজেই চালকের আসনে বসে, বাস চালান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন অভিষেককে মারতে বিমানেও গুন্ডা তুলে দিচ্ছে বিজেপি, বিস্ফোরক মমতা
দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। একই সঙ্গে বাড়ছে বাসের ভাড়াও। ফলে ক্রমাগতই কমছে বাসের সংখ্যা। সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা।সেই সমস্যা থেকেই কার্যত এবার মুক্তির পথ দেখাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ডিজেল চালিত দুটি বাসকে পরীক্ষামুলকভাবে সিএনজিতে পরিবর্তিত করা হয়েছে।সোমাবার তারই একটি ট্রায়াল হয় শহর কলকাতায়। কার্যত জ্বালানির খরচ সাশ্রয় করতেই রাজ্যে আনা হচ্ছে সিএনজি বাস। ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য জায়গায় বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সিএনজি বাস।এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বাংলা। এদিন সিএনজি বাসের উদ্বোধনের আসেন পরিবহণ মন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের একাধিক আধিকারিক এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন লোকসভায় পাশ তপশিলি উপজাতি সংশোধনী বিল, ২০২১
এদিন সিএনজি বাসের উদ্বোধনে এসে পরিবহণ মন্ত্রী জানান, ‘যে পরিমাণে তেলের দাম বেড়েছে তাতে পেট্রোল ডিজেলের দাম মিটিয়ে বাস চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই এই চিন্তাভাবনা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে বাসের ভাড়া কমবে । একইসঙ্গে যাত্রীদের সমস্যা মিটবে। আগামী ২ মাস রাস্তায় নামানো হবে বাস দুটিকে । যদি ভালো ভাবে চলে তাহলে ডিজেল ইঞ্জিনের সব বাস গুলিকেই সিএনজি বাসে কনভার্ট করার চিন্তা ভাবনা করবে রাজ্য সরকার।’
আরও পড়ুন মমতাকে ‘মা’ সম্বোধন, আশ্বাস দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট আক্রান্ত সুদীপের
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই সিএনজি বাসের বিষয়ে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। যার নেতৃ্ত্বে ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকেই সিএনজি (CNG) চালিত বাস নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। সেখানেই পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির মউ স্বাক্ষরিত হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, কলকাতা পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকার বাস ডিপোগুলিতে সিএনজি সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। সেই মতোই ২ মাসের মাথায় কলকাতা শহরে নামল সিএনজি বাস।
আরও পড়ুন ধানবাদে বিচারপতির রহস্যমৃত্যু, সিবিআইয়ের কাছে ৭ দিন অন্তর রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট