বোলপুর: এক অভিনব সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হল শান্তিনিকেতনের পঞ্চবন আর্ট রিসর্টে। বীরভুম জেলা পরিষদের নব নিযুক্ত সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখকে শান্তিনিকেতন সম্মাননা ২০২৩ এ ভূষিত করল প্রাচী প্রতীচি শিল্প সংগঠন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুফি সাধক সৈয়দ মাসুদ আলী আল কাদরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব মলয় ঘোষ , সমাজ সেবী আওহসান কামাল। এই সংগঠন ইতিমধ্যে সাহিত্যিক দেবেশ রায়, সুধীর চক্রবর্তী, নির্মলেন্দু গুন, শিল্পী হিরন মিত্র, হৈমন্তী শুক্লা সহ অনেক কেই এই সম্মাননা প্রদান করেছেন।
প্রাচী প্রতীচির কর্নধর তাপস মল্লিক বলেন, এই প্রথম আমরা কোনও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে শান্তিনিকেতন সম্মানায় ভূষিত করা হল।গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ব্যবস্থাপনায় কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব মানবতার সেবক হিসেবে সকল মানুষের মনে স্থান করে নেয় , তাকে নিয়ে উন্নত সমাজের স্বপ্ন দেখে আপনি তাদের একজন, যিনি সফল রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেনীর মানুষের প্রতিনিধি ও ভরসার স্থল হয়ে উঠেছেন।
মহামারির সময়ে কাজল শেখ তার গ্রামের ১০০ ভাগ মানুষের ভ্যাকসিন সফল ভাবে প্রয়োগ করেছিলেন, যা সারা ভারতবর্ষে বিরল কৃতিত্ব ও দীর্ঘদিন বিনা পয়সার বাজার চালিয়েছেন। সারা বাংলায় দীর্ঘ মেয়াদি ও রেকর্ড সংখ্যক রক্তদান শিবির আয়োজন , থ্যালাসেমিয়া রোধে অগ্রনী ভুমিকা। ক্রীড়া,-শিল্প-সংস্কৃতি-ধর্ম,ও সামাজিক কর্মকান্ড সকল ক্ষেত্রে রয়েছে তার উল্লেখ যোগ্য অবদান । তাই কাজল শেখকে এই সম্মাননা প্রদান করা হল।
আরও পড়ুন: নিউ ব্যারকপুরে গেঞ্জি কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বুধবার শান্তিনিকেতনের পঞ্চবণ আর্ট রিসোর্টে নাগরিক সংবর্ধনার অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়। কবিতা পাঠ, দেশাত্মবোধ সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান কার্যত রঙিন হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) আর্ট রিসোর্ট প্রাঙ্গন।
এই সংবর্ধনায় কাজল শেখ ( Kajal Sheikh ) বলেন, আমি অত্যন্ত গ্রামের একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে এই জায়গায় নিজেকে উন্নত করেছি। সবটাই আপনাদের ভালোবাসা। রাজ্যের পাশাপাশি গোটা বীরভূম জেলায় প্রচুর কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জনমুখী প্রকল্প বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া এটাই আমার মূল লক্ষ্য। আগামী দিনে বীরভূম জেলাকে রাজ্যের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া যাব কাজে নিরিখে এটাই আমার চিন্তাভাবনা। আমার চলার পথ কোথাও ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দেবেন। নিজেকে শুধরে নেব।