পুরুলিয়া: ভোটে জেতা-হারা নিয়ে বাজি ধরাকে কেন্দ্র করেই কি ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councillor) তপন কান্দু খুন হন? ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের আগে জয়ী কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি একযোগে খুনের (Congress Councillor Murdered) ঘটনায় শাসকদলের (TMC) নাম জড়িয়ে দেয়। যদিও পুলিস তপন কান্দু খুনে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিহত কাউন্সিলরের এক ভাইপোকে গ্রেফতার করে। খুনের তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও (SIT) গঠন করা হয়।
এই তদন্তকারী দলের অফিসারদের কাছে খুনের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরায় জানা গিয়েছে, নিহত তপন কান্দু ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ধৃত দীপক কান্দু্র বাবা নরেন কান্দুর সঙ্গে ভোটে জেতা নিয়ে বাজি ধরেন। যেখানে কংগ্রেস প্রার্থী তপন ও তৃণমূল প্রার্থী দীপকের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকার বাজি ধরা হয়। অর্থাৎ, যে হারবে, সে অন্যজনকে ৫ লক্ষ টাকা দেবে।
ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দু ১২৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী তপনের কাছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজির প্রতিশ্রুতি মত ৫ লক্ষ টাকাও তপনকে দিয়ে দেওয়া হয়। এই খুনের সঙ্গে বাজি ধরার টাকার লেনদেনের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিট। যদিও স্থানীয় পুলিস এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্তের খোঁজ দিলে নগদ ইনাম
রবিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তপন কান্দু। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়।