পুরুলিয়া: প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Congress Councillor) তপন কান্দু ‘খুনি’র স্কেচ প্রকাশ করল জেলা পুলিস। ‘খুনি’-কে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিস। তবে স্কেচে ফুটে ওঠা ‘খুনি’র (Congress Councillor Murdered) সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারেননি ধৃত দীপক কান্দু। পুরুলিয়ার পুলিস সুপার এস সেলভা মুরুগণ বলেন, খুনির স্কেচ এঁকেছে সিআইডি। যে বা যারা খুনির সন্ধান দিতে পারবে, তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করবে পুরুলিয়া জেলা পুলিস।
রবিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের পুরভোটে ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতেছিলেন তপন কান্দু। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন। এবারের পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটেই ভোটে লড়েন। তপনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ান তাঁরই ভাইপো। তাঁকে হারিয়ে জেতেন তপন।
আরও পড়ুন: Tapan Kandu Murder Case: তপন কান্দু খুনে CID তদন্ত শুরু, ঝালদার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, পুলিসি মদতে নিহত তপন কান্দুকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। তাঁর কথায়, এটা ‘মার্ডার ফর মেজোরিটি’ অর্থাৎ সংখ্যা গরিষ্ঠতার কারণেই তপনকে খুন করা হয়েছে৷ পুলিস সরাসরি ঘটনায় জড়িত রয়েছে৷ তৃণমূল পুরবোর্ড দখল করতেই তপন কান্দুকে খুন করেছে বলে অধীরের দাবি৷ সেই কারণে অভিযুক্তদের শাস্তি ও সঠিক বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পথ অবলম্বন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷