কলকাতা: প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু মামলায় হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় তদন্ত চলবে। শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। শুভেন্দুর সুবিধামত জায়গায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু৷ মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা জানান, ১৪ অক্টোবর কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর৷ শুভব্রতর শরীরে গুলি লেগেছিল৷ কিন্তু কী করে তিনি গুলিবিদ্ধ হন সেটা সুপর্ণা বা পরিবারের কারও কাছে আজও স্পষ্ট নয়৷ সেই ঘটনার আড়াই বছর পর ৭ জুলাই কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুপর্ণা৷
নিহতের স্ত্রীর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তখন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ তাই তখন ভয়ে মুখ খোলেননি৷ এখন পরিস্থিতি আলাদা৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাপট অনেকটাই কমেছে৷ তাই এখন তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিচার চান৷ অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে৷ কলকাতায় নিয়ে আসার পরেও হাসপাতালে কোনও চিকিৎসায় হয়নি শুভব্রতর৷ সুপর্ণার প্রশ্ন, রাজ্যের মন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও কেন অ্যাম্বুল্যান্স দেরিতে এল? কেন হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছিল শুভব্রতকে?
সুপর্ণা বলেন, ‘আমার স্বামী ৬-৭ বছর শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন৷ তখন স্বামীর সঙ্গে কাঁথিতেই থাকতাম৷ আমাদের দুই সন্তান আছে৷ ঘটনার দিন প্রতিদিনের মতো সকালে কাজে বেরিয়ে যান শুভব্রত৷ পরে জানতে পারি, আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়ই৷ সেখানে গিয়ে জানতে পারি শুভব্রত-র গুলি লেগেছে৷ শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়৷’