নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ত্রিপুরার পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জোড়াফুল শিবির। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারিসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করে। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি চলছে। ত্রিপুরার পুরভোট পিছোবে কি না, তা সুপ্রিম রায়ের উপরেই নির্ভর করবে।
ত্রিপুরার পুরভোটকে কেন্দ্র করে বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে হিংসা বাড়িয়েছে বিপ্লব দেব। তৃণমূলের একাধিক নেতা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন – ত্রিপুরায় কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে নর্থ ব্লকে ধরনা তৃণমূল সাংসদদের
শুধু তৃণমূল নয়, ত্রিপুরায় আক্রান্ত সিপিএম-ও। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ব্যানার ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার ছবিও সামনে এনেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে ত্রিপুরা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু বিরোধীদের নয়। সুদীপ রায়বর্মনের মতো বিজেপি নেতাও সরব হয়েছেন রাজ্যের হিংসা নিয়ে। বিপ্লব বিরোধী বলে পরিচিত সুদীপের অভিযোগ, শিশুসুলভ নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিপ্লব দেব। ত্রিপুরায় হিংসার দায় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের উপর চাপিয়েছেন। নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।