কলকাতা: করোনাভাইরাসে গুরুত্ব অসুস্থ রোগীদের এ বার ককটেল থেরাপি দেওয়া হবে। মেডিক্যাল পরিভাষায় যা ‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি’ নামে পরিচিত। রাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাস মাথাচাড়া দেওয়ায়, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নতুন চিকিত্সা বিধি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি ছাড়াও মলনুপিরাভির ওষুধটিকেও রাখা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য অনেক আগেই ককটেল থেরাপি শুরু হয়েছে। সদ্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোভিড ধরা পড়লে, তাঁকেও ককটেল থেরাপিই দিয়েছিলেন চিকিত্সকেরা। কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলোয় ব্যয়বহুল এই চিকিত্সার অনুমোদন ছিল না। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর, সরকারি হাসপাতাগুলিতেও কোভিড রোগীদের জন্য উল্লিখিত দু’টি চিকিত্সাই মিলবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে এই চিকিত্সা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন : ওমিক্রনে আতঙ্ক না-করে আইসোলেশনে থাকুন, পরামর্শ রণদীপ গুলেরিয়ার
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ফেব্রুয়ারির মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ দেড় থেকে ২ লক্ষ ছাড়বে। ফলে, আর পাঁচটা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাতেও যে সংক্রমণ বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বছরের প্রথম দিনই দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৪৫১ জন। তার ওপর আবার ওমিক্রনের চোখ রাঙানি রয়েছে। পরিস্থিত আঁচ করে রোগী ভর্তি নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন : সামান্য জ্বর হলেও আর ঝুঁকি নয়, কোভিড টেস্টের পরামর্শ কেন্দ্রের
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায়, উপসর্গহীন রোগী, লক্ষণবিহীন কোমর্বিড রোগী এবং মৃদু উপর্সগযুক্ত রোগীদের বাড়িতে বা সেফ হোমে নিভৃতবাসে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যদি রোগীদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, ধারাবাহিক ভাবে জ্বর থাকে, বুকে ব্যথা বা মারাত্মক কাশি হয়, সে ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।