নয়াদিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্র। ব্রিটেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মতো দেশগুলিতে দৈনিক এক লক্ষের ওপর সংক্রমণ হচ্ছে। সেখানে ভারতে কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। এমন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, কোভিডের সামান্য উপসর্গও আর হেলাফেলা করা যাবে না। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, কোভিড পজিটিভ হিসেবে ধরে নিতে হবে।
রাজ্যগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনই বাঁচার পথ। তাই কারও মধ্যে সামান্য উপসর্গ দেখলেই কোভিড পজিটিভ হিসেবে ধরে নিতে হবে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগী এবং পজিটিভিটি রেট দ্রুত হারে বাড়ছে। তাই উপসর্গের দ্রুত শনাক্তকরণ শুধু নয়, সেইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার হারও বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন : Covid Vaccine: আজ থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন শুরু
চিঠিতে বলা হয়েছে, কারও মধ্যে যদি জ্বর, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়েরিয়া, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়ার উপসর্গ থাকে, ধরে নিতে হবে সম্ভাব্য কোভিড পজিটিভ। এ ভাবে সম্ভাব্য কোভিড রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করে নমুনার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। কোভিডের উপসর্গ থাকলে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে, তার আগেই কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন : Covid India: ২৭৫ দিন পর ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াল সাড়ে ২২ হাজার, স্বস্তি সুস্থতার হারে
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোভিড টেস্ট বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলোকে সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, দিনে ২০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করার মতো পরিকাঠামো এখন দেশের আছে। কোভিড টেস্টের আরও গতি বাড়াতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ওপরেও জোর দিতে বলা হয়েছে। তার কারণ আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। কেন্দ্রের নির্দেশে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সর্দি হোক বা না হোক জ্বর হলেই কোভিড টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।