কলকাতা: গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষের মুখে৷ কে খুনী, খুনের মোটিভ কী ছিল সবই তদন্তকারীদের কাছে পরিষ্কার৷ মূল অভিযুক্তের মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কেবল খুনীই পলাতক৷ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ৷ সে ধরা পড়লেই তদন্তের জাল গুটিয়ে ফেলবে লালবাজার৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাট জোড়া খুন: মিঠুর বাড়ি থেকে উদ্ধার রক্ত মাখা জামা-কাপড়
কিন্তু ভিকির কোনও খোঁজ মেলেনি৷ অপরাধীদের ধরার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন তদন্তকারীদের ভীষণ কাজে লাগে৷ কিন্তু সূত্রের খবর, ভিকি মোবাইল ফোন সুইচড অফ করে রাখছে৷ অথবা ঘন ঘন নম্বর বদল করছে৷ তবে বর্তমানে যে নম্বরটি খুনী ব্যবহার করছে সেটির লোকেশন ধরে ভিকিকে খুঁজছেন হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা৷ সূত্রের খবর, ভিকির মোবাইল নম্বরের শেষ দুটি ডিজিট হল ৫০৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ধৃত পরিচারিকার বড় ছেলেকে খুঁজছে পুলিশ
এদিকে বুধবার মধ্যরাতে ভিকির মা মিঠুকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের নাইয়া পাড়ায় গিয়েছিল পুলিশ৷ সঙ্গে ছিল মহিলা পুলিশও৷ ওখানে পম্পা গায়েনের বাড়িতে ভাড়া থাকত মিঠু৷ তার ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ উদ্ধার হয় তাদের ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র৷ তল্লাশি চলাকালীন পুলিশ কিছু জামা-কাপড় বাজেয়াপ্ত করে৷ যেগুলিতে রক্তের দাগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ অনুমান, এই পোশাক করেই সুবীর চাকী ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করেছিল ভিকি৷ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে৷