কলকাতা: তিনদিনের মধ্যে গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনার কিনারা করে ফেলেছে লালবাজার৷ ধরা পড়েছে মিঠু হালদার নামে ওই বাড়ির পরিচারিকা৷ সেই সঙ্গে পরিচারিকার ডায়মন্ড হারবারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্ত মাখা জামা-কাপড়৷ বুধবার রাতে বিশাল টিম নিয়ে মিঠুর বাড়ি গিয়েছিল পুলিশ৷ তখনই ওই জামা-কাপড় খুঁজে বের করেন তদন্তকারীরা৷ অনুমান, খুনের দিন এই পোশাক পরেই সকলে গিয়েছিলেন কাঁকুলিয়া রোডের কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর বাড়িতে৷ খুনের পর পোশাক বদলে তার পর বাড়ি ফেরেন সকলে৷ মিঠু ধরা পড়লেও তার ছেলে ভিকি হালদার পলাতক৷ খুনের ঘটনায় সেই মূল অভিযুক্ত৷ তাকে খুঁজছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনের রহস্যভেদ, ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার বাড়ির পরিচারিকা
বুধবারই মিঠুকে ডায়মন্ড হারবার থেকে লালবাজারে এনে গ্রেফতার করে হোমিসাইড শাখার কর্তারা৷ তার পরই দফায় দফায় জেরা করা হয় তাকে৷ পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে মিঠু৷ সব দোষ স্বীকার করে নেয়৷ কিন্তু তদন্তকারীদের কাছে প্রথমে দাবি করে সে-ই খুন করেছে৷ মিঠুর দাবি মানতে চায়নি পুলিশ৷ তাদের বদ্ধমূল ধারনা হয়, ছেলেকে বাঁচাতে সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিচ্ছে ওই পরিচারিকা৷ তবে শেষ পর্যন্ত মিঠু মেনে নেন, খুন করেছে বড় ছেলে ভিকি৷ ছেলের সঙ্গে মিলে তিনি খুনের প্ল্যান করেছিলেন৷ এই স্বীকারোক্তির পরই পুলিশ মিঠুকে নিয়ে বুধবার রাতে ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে যায়৷ সেখানে তল্লাশি চালায়৷ উদ্ধার হয় রক্ত মাখা জামা-কাপড়৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ধৃত পরিচারিকার বড় ছেলেকে খুঁজছে পুলিশ
রক্ত মাখা জামা-কাপড়গুলি খুঁজছিল পুলিশ৷ তদন্ত চলাকালীন মিঠুর বাড়ির মালিকনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, বিজয়া দশমীর পরের রাতে মিঠুকে রক্তমাখা জামা কলের জলে ধুতে দেখেছিলেন তিনি। মিঠুকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ছেলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিল৷ তাই জামা-কাপড় কেচে পরিষ্কার করে রাখছেন৷ ইতিমধ্যে ১৬১ ধারায় মিঠু-সহ চারজনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ৷ বাকি তিনজন হল মিঠুর ছোট ছেলে বিলাস হালদার, পরিচারিকার ভাই তরুণ হালদার এবং তাঁর ছেলে৷