চীন: সাত কোটি বছর আগের একটা ডিম। পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ডাইনোসরের ডিম। চীন দেশের এক সংগ্রহশালায় এত দিন পড়ে ছিল। ওভিরাপটোসরাস প্রজাতির ডাইনোসরের সেই ডিম খুঁজে পেতেই চক্ষু একেবারে চড়কগাছ। ডিমের ভিতর না ফোটা ভ্রূণ। আজও জীবাশ্ম হয়ে টিকে আছে।
একশো বছরের বেশি সময় ধরে জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া ডিম সংরক্ষিত ছিল চীন দেশে। চীনের ইয়াংলিয়াং স্টোন ন্যাচারাল মিউজিয়ামে। সংগ্রহশালাটি চীন দেশের নান প্রদেশে। তা প্রায় সাত বছর আগের ঘটনা। মিউজিয়মের মালখানাঘরে একদিন এক কর্মী কাজ করছিলেন। হঠাৎ দেখতে পেলেন, একটা জীবাশ্ম-ডিমের ভিতর থেকে হাড়-গোড় বেরিয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০০ মিলিয়ন নাগরিকের বাড়িতে করোনা টেস্ট কিট পাঠাবে বাইডেন সরকার
চীন দেশে থেকে কাট টু টেমস পাড়ের বিলেত। ডিম নিয়ে শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বারমিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর, ওয়াইসাম মা জানাচ্ছেন, ‘আমরা তো অবাক, ডিমের ভিতর কী অদ্ভুত ভাবে ভ্রূণটি আজও টিকে আছে।’
ডিমের গঠনটা ঠিক কেমন? আর ডিমের ভিতর না ফোটা ডাইনোসরের সেই কুসুম? বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, না ফোটা ভ্রূণের খুলি চব্বিশ সেন্টিমিটার লম্বা। দেহের বাকি অংশ খুলির সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে লেগে। ডিমটিও প্রায় সমান লম্বা। চওড়ায় আট সেন্টিমিটার। ভ্রূণের চেহারা দেখে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন এটি ওভিরাপটোসরাস প্রজাতির। যে সব ডাইনোসরদের মুখ ছিল পাখির মত। পাখিদের মত পালকও ছিল। আর ছিল দু’টো পা।
আরও পড়ুন: কিমের দেশে হাসতে মানা দিন দশেকের তরে
পরীক্ষা করে দেখা যায় ডিমের বয়স কম করে সাত কোটি কুড়ি লক্ষ বছর থেকে ছ’কোটি বছরের মধ্যে। পৃথিবীটা তখন দেখতে কেমন ছিল? ওই অত অত বছর আগে কেন এই ডিমের সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়েছিল? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘সংরক্ষণের জন্যই বালি বা কাদার নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল ডিমটি। এ ধরনের জীবাশ্ম এক কথায় বিরল। যেমন বিরল ডিমের মধ্যে ভ্রূণ প্রায় অবিকল টিকে থাকার বিষয়টি।’