রবিবার বুদাপেস্টের পুসকাস এরিনায় চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে নেদাল্যান্ডেসের জয় পাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
গ্রূপ ডি থেকে তৃতীয় দল হিসেবে নক আউটে কোয়ালিফাই করেছে চেকরা। তবে গ্রূপটা কঠিন ছিল। চেকদের সঙ্গে ছিল ক্রোয়াশিয়া, ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড। চেকরা ইংল্যান্ডের কাছে এক গোলে হারলেও, ১-১ ড্র করেছে বিশ্ব কাপ রানার্স ক্রোয়াশিয়ার সঙ্গে। আর স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ২-০ গোলে। দুটি গোলই করেছেন প্যাট্রিক সিক। এর মধ্যে একটা গোল প্রায় ৫০ মিটার দূর থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শটে। চমৎকার গোল। তা সত্ত্বেও তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রূপে তৃতীয় হয়েই গেছে নক আউটে।
নেদারল্যান্ডসের গ্রূপটা কঠিন ছিল না। তাদের সঙ্গে ছিল অস্ট্রিয়া, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া এবং ইউক্রেন। সহজতম গ্রূপই বলা যায়। তবে ডাচদের কৃতিত্ব তারা তিনটে ম্যাচেই জিতেছে এবং গোল করেছে আটটি। ফ্রাঙ্ক দি বোরের টিমের স্কোরিং এবিলিটির পরিচয় পাওয়া যায় এই আট গোলের মধ্যে। তাদের দুই ফুটবলার মেম্ফিস ডিপে এবং জিওরজিনহো উইনালডাম দুজনেই গোলের মধ্যে। এই মেম্ফিস ডিপেকে আগামি মরসুমে খেলতে দেখা যাবে বার্সেলোনায়। গত বছর থেকেই রোনাল্ড কোমান তাঁর স্বদেশীয়কে তাঁর টিমে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অবশেষে ফরাসি ক্লাব থেকে এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে আসতে পেরেছেন বার্সায়। নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক জিওরজিনহো উইনালডাম খেলেন লিভারপুলে। সামনের মরসুমে তিনি যোগ দেবেন প্যারিস সাঁ জাঁমা-তে। দুই মরসুম আগে লিভারপুলের ইউরোপ সেরা হওয়ার পিছনে তাঁর বড় অবদান আছে। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারটি প্রায় সব ম্যাচেই বিপক্ষের ত্রাসের কারণ। এর সঙ্গে গোল করার ক্ষমতা তাঁকে টিমের এক নম্বর ফুটবলার করে তুলেছে।
ডাচদের মাঝ মাঠে ডিফেন্সিভ ব্লকারের কাজটা করেন ফ্রাঙ্ক দে জং। চব্বিশ বছর বয়সের ফুটবলারটি বার্সেলোনায় খুবই দাপটের সঙ্গে খেলছেন গত বছর থেকে। সামনের দিকে এই তিনজন এবং পিছন দিকে সেন্টার ব্যাক আয়াখসের ড্যালে ব্লিন্ড এবং জুভেন্তাসের ম্যাথিয়াস ডি লিট প্রায় দুর্ভেদ্য করে তুলেছেন ডাচ ডিফেন্সকে। সব মিলিয়ে নেদারল্যান্ডস টিমের ভারসাম্য বেশ ভাল। চেকদের পক্ষে এই নেদারল্যান্ডকে হারানো প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।
তবে চেকরা কিন্তু লড়বে। তাদের তিন ফরোয়ার্ড দারিদা , জ্যাঙ্কটো এবং সিক হয়তো তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ফুটবলারদের মতো তত জনপ্রিয় নন। কিন্তু কার্যকারিতায় তারাও কম যান না। বিশেষ করে বেয়ার্ন লেভারকুসেনের প্যাট্রিক সিক। যে ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে স্কটল্যান্ড তাদের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছেন সিক এবং দ্বিতীয় গোলটাকে তো এবারের ইউরোতে এখন পর্যন্ত সেরা গোল বলা হচ্ছে। তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সিকদের বড় কিছু করা কঠিন। নেদারল্যান্ডসের মাঝ মাঠ এবং ডিফেন্স অনেক শক্তিশালী। সব মিলিয়ে দুই টিমের যা ওজন তাতে ডাচদের ম্যাচ জেতা হয়তো খুব কঠিন হবে না।