ভোটের আগে পঞ্জাব রাজনীতিতে একেবারে নতুন সমীকরণ। সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদি। কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় পঞ্জাবের ভোট-অংক আবার নতুন করে কষতে হচ্ছে। কংগ্রেস কৃষি আইনকে ব্যবহার করে যতটা ফায়দা তুলবে ভেবেছিল, তা আপাতত বিশ বাঁও জলে। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের অবস্থা এখন ‘না ঘরকা না ঘাটকা’। শিরোমণি অকালি দল বেগতিক বুঝে বিজেপি’র সঙ্গ ছেড়েছে। সম্ভবত আম আদমি পার্টিই পঞ্জাব প্রদেশে এক খানিকটা হলেও অ্যাডভানটেজে রয়েছে।
তা হলে কি নতুন কোনও শক্তি পঞ্জাবে উঠে আসে আসবে? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, কৃষি আন্দোলনের ভিতরে থেকেই হয়ত নতুন কোনও মুখকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতে পারে। এমনকি আন্দোলনকারীরা নতুন কোনও দল তৈরি করতেও পারেন। সেক্ষেত্রে ভোট দৌড়ে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার, কী যুক্তি দিলেন মোদি? ডি-কোড করল কলকাতা টিভি ডিজিটাল
হামির সিং পঞ্জাবের রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ‘দ্য ওয়ার’কে বলেছেন, ‘কৃষকদের আন্দোলন পঞ্জাবের মূল ধারার রাজনীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট একটা স্বর তৈরি করতে পেরেছে। নতুন নতুন সমীকরণের রাস্তা খুলে দিয়েছে।’ আম আদমি পার্টি যে কৃষক নেতাদের ভিতর থেকে কাউকে কাউকে যোগাযোগ করছে তা জানিয়ছেন হামির। সম্ভবত ওই সব সম্ভাব্য নাম থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রজেক্ট করবে আম আদমি পার্টি। বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের মধ্যে কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্তত ভোটের আগে আসন রফা তো নয়ই।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের অবস্থান কী? কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর একটি টুইট করেন ক্যাপ্টেন। টুইটে তিনি কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের সঙ্গেই কাজ করার কথা বলেছন। কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি পঞ্জাবের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই ধোঁয়াশায় ভরা।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা, পঞ্জাবে ভরাডুবি ঠেকাতে পারবে তো বিজেপি?
আর কংগ্রেস চাইছে কৃষক আন্দোলনের এই সাফল্য তাদের ভোট-ব্যাঙ্কে টেনে আনতে। সব মিলিয়ে একেবারে নতুন এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পঞ্জাবে।