আগরতলা: ত্রিপুরাতে আবারও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি আশীষ লাল সিংহকে আক্রমণ। বাড়ির ফেরার সময় খোয়াইয়ের কাছে তাঁকে আক্রমণ করা হয়। তাঁকে ও যুবকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদলে থাকতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামীকাল ত্রিপুরাজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচি।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ, শীর্ষস্থানে উত্তর ২৪ পরগনা
আজ রবিবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতারা আগরতলা থেকে ধর্মনগরের দিকে যাচ্ছিলেন৷ সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের চাইবাসার কাছে তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়৷ আহত হন তৃণমূল নেতা সহ একজন সাধারণ কর্মী। প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পথ অবরোধ করে৷ আটকে যায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কনভয়। তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার গন্তব্যে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে কোচবিহার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
এ দিন যুবকর্মীদের উপর হামলায় ঘটনাস্থলে ইটের আঘাতে জখম হন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত রাহা এবং জয়া দত্ত। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন যুব নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ধর্মনগরে একটি কর্মসূচীতে যোগদান করার কথা ছিল তৃণমূল যুব নেতৃত্বের। অভিযোগ, রাস্তায় আতর্কিতে তাঁদের উপর চড়াও হল একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে গাড়িতে ইট মারা হয়।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত ট্যুইট সরিয়ে দেওয়ার পর সাময়িক বন্ধ রাহুলের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট
এরপর লাঠি, রড দিয়ে হামলা করা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ইটের আঘাতে আহত হন তৃণমূল নেতারা। পুলিশকে ঘটনার কথা জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ত্রিপুরা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ এবং ব্রাত্য বসু। ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করে তুলে ধরেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। লাইভ ভিডিও-তে দেখা যায়, আঘাতে তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন- সারদা তদন্তে কুণাল ঘোষের চিঠির জবাব দিলেন অমিত শাহ
এই বিষয়ে কুণল ঘোষ বলেছেন, “সকালে বাইকবাহিনীর ছবি দিয়েছি। দুপুরেই আবার তৃণমূলের উপর হামলা। কাল সকালে ব্রাত্য, আমি ফের যাব ত্রিপুরা। জখম সহকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে। অভিষেকের উপর হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি। বোমা, পাথর, রড দিয়ে হামলা চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে পারবে না বিজেপি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “ত্রিপুরায় গুন্ডারাজ শেষ হবে। বিকল্প সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। বিজেপি সেটা বুঝে ভীত। তাই মরিয়া হয়ে হামলা। ত্রিপুরার গণতন্ত্রপ্রিয়, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল সব নাগরিককে অনুরোধ, এই লড়াইতে আসুন একসঙ্গে থাকি। বাংলায় ওদের হারিয়েছি। ত্রিপুরাতেও হারাব।” পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে সাংসদ দোলা সেনও রবিবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন।