দেবজ্যোতি ঘোষ, কলকাতা: চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। ওই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে শুরু থেকে। ওই কেলেঙ্কারিতেই গ্রেফতার হতে হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। দলীয় নেতৃত্বকেও সেই সময়ে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কুণাল। এবার তাঁর অনুরোধেই নয়া পথে শুরু হতে পারে সারদা তদন্ত।
আরও পড়ুন- পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে উজ্জ্বল ভারতের প্রাচীন গ্রন্থ উপনিষদ
২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশ্যে আসে সারদা কাণ্ড। সেই সময়ে সারদা গোষ্ঠীর অধীনে থাকা সংবাদমাধ্যমের সর্বময় কর্তা ছিলেন কুণাল ঘোষ। প্রতি মাসে বিপুল টাকা বেতন পেতেন। সেই কুণাল ঘোষকে রাজ্যের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল গ্রেফতার করে ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে। তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সেই সময়ে দলের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব ঘুঁচিয়ে এখন তৃণমূলের বড় পদে আসীন কুণাল। ওই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো মুকুল রায় বিজেপিতে গিয়েও ফিরে এসেছেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন- মুসলিম হয়ে অমুসলিমকে বিয়ে ইসলাম বিরুদ্ধ : AIMPLB
কুণাল ঘোষের মুখে বারংবার বলতে শোনা গিয়েছিল যে সারদা কাণ্ডে মুকুল রায়ের জড়িত থাকার কথা। যা নিয়েই গত বছরে প্রকাশ্যে আসে একটি বিস্ফোরক চিঠি। যা জেলে বসে লিখেছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। যেখানে তিনি দাবি করেন যে বাম-কংগ্রেস থেকে তৃণমূল সকল রাজনৈতিক নেতাদেরকেই টাকা দিয়েছিল সে। তৎকালীন তৃণমূল এবং পরে বিজেপিতে যাওয়া নেতারাও বিপুল টাকা পেয়েছিলেন সারদা থেকে। সেখানে মুকুল-শুভেন্দু থেকে শুরু করে বিমান, সুজন এবং অধীর চৌধুরীর মতো নেতাদের নামও ছিল।
আরও পড়ুন- ‘কলকাতাই ডুবে যাচ্ছে, উনি কী করে ঘাটাল-খানাকুল বাঁচাবেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত ডিসেম্বর মাসে ওই চিঠি লেখেন সুদীপ্ত সেন। যা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলনেতার সেই চিঠির পরপ্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে বিশেষ আশাবাদী কুণাল। তাঁর মতে, “যারা চিট ফান্ড নিয়ে কথা বলেন, তাদের জন্য। কোর্টকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠির কপি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তদন্তের দাবি পাঠিয়েছিলাম। তাঁর জবাবি চিঠি পেয়েছি। আশা করি সিবিআই তদন্ত করবে।”