ওয়ারশ: পশ্চিমী শিক্ষায় উন্নত হওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। আর সেই সময়েই সুদুর পোল্যান্ডে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। ওই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল জুড়ে স্থান পেয়েছে ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থ উপনিষদ। যা ওই দেশে ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে গর্বের সঙ্গে সকলকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ডাক বিভাগে চাকরির একাধিক আবেদন, তদন্তে পুলিশ
পোল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়ারশ। ওই শহরে অবস্থিত ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির দেওয়ালে অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জায়গা দেওয়া হয়েছে উপনিষদকে। বিভিন্ন জায়গায় লেখা হয়েছে নানাবিধ শ্লোক। যেগুলি উপনিষদে বর্ণিত রয়েছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির দেওয়ালের ছবি ট্যুইট করেছে পোলান্ডের ভারতীয় দূতাবাস।
আরও পড়ুন- মুসলিম হয়ে অমুসলিমকে বিয়ে ইসলাম বিরুদ্ধ : AIMPLB
সেই ট্যুইট করা ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “কি মনোরম দৃশ্য! এটি ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির একটি দেয়াল যার উপর উপনিষদ খোদাই করা আছে। উপনিষদ হিন্দু দর্শনের সম্পর্কিত বৈদিক সংস্কৃত গ্রন্থ। যা হিন্দুধর্মের ভিত্তি তৈরি করে।” খুব স্বভাবভিকভাবেই ওই ছবি ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে নেট দুনিয়ায়। ভারতীয় নেটিজেনদের অনেকেই বিদেশের মাটিতে দেশীয় সংস্কৃতির সম্মান প্রাপ্তি দেখে গর্বিত। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ছবি কেন দেখা যায় না?
What a pleasant sight !!😇 This is a wall of Warsaw University's library with Upanishads engraved on it. Upanishads are late vedic Sanskrit texts of Hindu philosophy which form the foundations of Hinduism. 🙏🙏@MEAIndia pic.twitter.com/4fWLlBUAdX
— India in Poland (@IndiainPoland) July 9, 2021
হন্দু ধর্মের প্রাচীন বই হচ্ছে উপনিষদ। যেখানে ধর্ম, ধ্যান এবং দর্শন সম্পর্কে বহু তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। উপনিষদ্ সাধারণভাবে “বেদান্ত” নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই শব্দটির অর্থ ব্যাখ্যাত হয় “বেদের শেষ অধ্যায়সমূহ বা শেষাংশ” হিসেবে। আবার বিকল্প একটি অর্থও করা হয়ে থাকে, সেটি হল “বেদের বিধেয় বা সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য”। ঐতিহাসিকদের মতে, মুখ্য উপনিষদ্গুলি প্রাক্-বৌদ্ধ যুগ থেকে শুরু করে খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দের প্রথমার্ধ্ব পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময়কালের বিভিন্ন পর্বে রচিত হয়। অপর দিকে অপ্রধান উপনিষদগুলি মধ্যযুগ ও প্রাক্-আধুনিক যুগের রচনা। অবশ্য প্রতিটি উপনিষদের সঠিক রচনাকাল নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। ব্রিটিশ কবি মার্টিন সেমোর-স্মিথ উপনিষদ্গুলিকে “সর্বকালের ১০০টি সবচেয়ে প্রভাবশালী বই”-এর তালিকাভুক্ত করেছেন।